দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- মার্চে অভিমান করে দলত্যাগ | মে মাসেই ভুল বুঝে ক্ষমাপ্রার্থী | তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল, স্বীকার করে দিদির স্নেহতলে ফেরার আবেদন জানিয়ে টুইট করলেন সোনালি গুহ | বাংলার জনতা যাকে একসময় অগ্নিকন্যার ছায়াসঙ্গী হিসাবেই চিনতেন |সেই ছায়াসঙ্গী বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে দলের টিকিট না পাওয়ায় শেষে দলই ছেড়ে দিয়েছিলেন | কিন্তু ভোট মিটতেই তাঁর নাকি মোহভঙ্গ হয়েছে | তাই আবারও তিনি ফিরে আসতে চান জোড়াফুল শিবিরে। দক্ষিন ২৪ পরগণা জেলার সাতগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে হয়েছিলেন দলের বিধায়কও | ২০১৬ সালের ভোটেও জয়ী হয়েছিলেন সোনালী | অনেকে ভেবেছিলেন এবারে বোধহয় শিকে ছিঁড়বে মন্ত্রীত্বের, কিন্তু সে হিসাবও মেলেনি |শেষে একুশের ভোটযুদ্ধে সোনালীকে আর টিকিটই দেননি মমতা | আর সেই অভিমানেই রাতারাতি যোগ দেন বিজেপিতে |
কিন্তু এবার সেখান থেকেও কার্যত পালিয়ে আসতে চাইছেন তিনি | এদিন টুইটে তিনি কার্যত চিঠি লিখলেন তাঁর ‘দিদি’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে |সেখানে তিনি লিখলেন, ‘সম্মানীয় দিদি, আমার প্রণাম নেবেন, আমি সোনালি গুহ | অত্যন্ত ভগ্ন হৃদয়ে বলছি যে, আমি আবেগপূর্ণ হয়ে চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য দলে গিয়ে ছিলাম যেটা ছিল আমার চরম ভুল সিদ্ধান্ত | কিন্তু সেখানে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি| মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমনই আমি আপনাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না | দিদি আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন | আপনি ক্ষমা না করলে আমি বাঁচব না | আপনার আঁচলের তলে আমাকে টেনে নিয়ে, বাকি জীবনটা আপনার স্নেহতলে থাকার সুযোগ করে দিন |’যদিও সোনালিকে দল ফিরিয়ে নেবে এমন কোনও ইঙ্গিত কিন্তু তৃণমূলের অন্দর থেকে মেলেনি | বস্তুত কয়েকদিন আগেই বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূল ত্যাগী দীপেন্দু বিশ্বাস | করোনা পরিস্থিতিতে নারদ কাণ্ডে রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেফতার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মনে হয়েছে তাঁর | তাই বসিরহাট দক্ষিণের প্রাক্তন বিধায়ক বিজেপি ছাড়ার কথা জানান |