প্রসেনজিৎ ধর :- ফের বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভায় গরহাজির একাধিক নেতা, বিধায়ক ও সাংসদ | শুক্রবার সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়ের দল ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার ঘটনায় যখন চরম অস্বস্তিতে পদ্ম শিবিরের নেতারা, তখন দলীয় নেতৃত্বের বিড়ম্বনা বাড়ালেন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ও বনগাঁ মহকুমার তিন বিধানসভা আসনের দলীয় বিধায়করা | রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ডাকা বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন চার জনেই | সেই বৈঠকে দেখা মিলল না বনগাঁ মহকুমার বিজেপিবিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর এবং বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের |বিধানসভা ভোটে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায় ভালো ফল করেছে পদ্ম শিবির | মতুয়া সম্প্রদায়ের সমর্থনের জেরেই বাগদা, বনগাঁর দুই আসনের পাশাপাশি গাইঘাটা আসনেও জিতেছেন বিজেপি প্রার্থীরা | কিন্তু তা সত্বেও দলে ভাঙনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না | কীভাবে দলের ভাঙন রোখা যাবে এবং সংগঠনকে এগিয়ে নেওয়া যাবে তা নিয়ে এদিন বনগাঁ জেলার পদাধিকারী ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ | বৈঠকে থাকার কথা ছিল বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর সহ দলের ৬ বিধায়কের | কিন্তু বৈঠক শুরু হতে দেখা যায় গরহাজির বনগাঁর সাংসদ | তাঁর সঙ্গেই অনুপস্থিত বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া ও গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর যিনি আবার বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের দাদা | বেশ কিছুক্ষণ সাংসদ ও তিন বিধায়কের জন্য অপেক্ষাও করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি | শেষ পর্যন্ত শান্তনু ঠাকুর-সুব্রত ঠাকুরদের অনুপস্থিতিতেই বাকি বিধায়ক ও নেতাদের নিয়ে বৈঠক শুরু হয় | মুকুল রায়ের দলত্যাগের দিন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ও বাকি তিন দলীয় বিধায়কের বৈঠক এড়িয়ে যাওয়া নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে| কেননা, চার জনেই দলত্যাগী নেতার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত|লোকসভা ভোটে মুকুলের সুপারিশেই শান্তনু ঠাকুরকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব | যদিও চার সাংসদ-বিধায়কের বৈঠকে গরহাজির থাকাকে গুরুত্ব দিতে চাননি বিজেপি রাজ্য সভাপতি | কেন বৈঠকে যোগ দিলেন না, সে বিষয়ে মুখ খুলেছেন গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর | তিনি বলেন, “শরীর অসুস্থ | সর্দি-কাশি জ্বর হয়েছে| সে কারণে যাওয়া হল না |” বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসও শারীরিকভাবে অসুস্থ | কলকাতায় চিকিৎসা করাতে যাওয়ার ফলে ওই বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি বলেই জানান | তবে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এবং বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি |