প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিল বিজেপি | আর সেই চিঠিতে স্বাক্ষর রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর | আজ শুক্রবার সেই চিঠিই জমা দিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষের দফতরে|’ জানা গিয়েছে ৬ পাতার একটি চিঠি জমা দিয়েছেন তিনি | এদিন বেলা ১২ টা নাগাদ তাঁর এই আবেদন গৃহীত হয়েছে অধ্যক্ষের দফতরে | খাতায়-কলমে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরেই, দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী | এদিনের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যেহেতু বিজেপি বিধায়ক হয়েও প্রকাশ্যে অন্য দলে যোগ দিয়েছেন মুকুল রায়, তাই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করা হোক | ওই চিঠিতে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদনের পক্ষে যুক্তি দেওয়া হয়েছে| দ্রুত বিধায়ক পদ খারিজের আবেদনও করা হয়েছে |বিধায়ক পদ ছাড়ার জন্য গত সোমবার মুকুল রায়কে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী | তবে তারপর ৩ দিন কেটে গেলেও মুকুল পদত্যাগ করেননি | এরই মধ্যে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের হুঁশিয়ারি দেওয়ার প্রায় ৭২ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন নিয়ে বিধানসভায় যান শুভেন্দু |বৃহস্পতিবার বিধানসভায় গিয়েও ফিরতে হয় শুভেন্দুকে | শুক্রবার সেই চিঠিই জমা পড়ল বিধানসভার অধ্যক্ষের দফতরে | তবে ৬৪ পাতার চিঠি দেওয়ার বিষয়টা কার্যত নজিরবিহীন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা |রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের কোনও আইনে বলা নেই বিধানসভার স্পিকার বা লোকসভার স্পিকারকে ঠিক কতদিনের মধ্যে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে | তাই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বলা হলেও তা যতদিন খুশি ঝুলিয়ে রাখতে পারেন স্পিকার | বিজেপি সূত্রে খবর, যদি বিধানসভার অধ্যক্ষ কোনও সিদ্ধান্তে না পৌঁছান, তাহলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন তারা যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর নিয়ে চূড়ান্ত রায় অধ্যক্ষই নেবেন |