দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- মুকুল রায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের পর দলে ভাঙন রুখতে তৎপর হল বিজেপি | রবিবার দিলীপ ঘোষ বলেন,”যারা দলে থেকেও বেসুরো তাদের অনেককেই শো-কজ করা হচ্ছে | যদিও রাজীব ব্যানার্জীকে শুধু বোঝানো হয়েছে|”কিন্তু ভোটের আগে তৃণমূল থেকে আসা নেতারা ভোট মিটতেই যে ভাবে একে একে ‘ঘরমুখো’ হচ্ছেন, সেই পরিস্থিতিতে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে সুর নরম করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ |পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে রবিবার উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন তিনি | সেখানেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অধুনা দলত্যাগী এবং আগামী দিনে দল ছাড়তে উৎসুক নেতাদের নিয়ে মুখ খোলেন দিলীপ | দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘রাজীববাবুর সঙ্গে দল কথা বলছে| অনেক নেতাকে শোকজ করা হলেও তাঁকে করা হয়নি | কঠিন পরিস্থিতিতে যাঁরা লড়াই করেননি তাঁদের অনেকর কষ্ট হচ্ছে | আমরা তাদের মনের জোর বাড়ানোর চেষ্টা করছি |’ তিনি বলেন, “আমরা পরিশ্রম করে হিংসার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম, তখন অনেকেই এসেছিলেন | সেইসময় তাঁরাও হয়ত গণতন্ত্রের হত্যা, হিংসা চাইছিলেন না | তাঁরাও হয়ত বিজেপি-র হাত ধরে বাংলায় পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন| ভেবেছিলেন, মানুষের অধিকার ফিরবে, গণতন্ত্র ফিরবে বাংলায় | কিন্তু আমরা সরকার গড়তে পারিনি | বিরোধী হিসেবে রয়েছি | আগের চেয়ে আরও বেশি হিংসা হচ্ছে| তাতেই অনেকে মানিয়ে নিতে পারছেন না | তাই দল ছেড়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন|”বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন তৃণমূল মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় | নির্বাচনে ডোমজুড় কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে হারেন তিনি | এরপর থেকে রাজীববাবুর সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের আর কোনও যোগাযোগ নেই বলে খবর | তাঁকে দলের কোনও অনুষ্ঠানেও দেখা যায়নি | গত সপ্তাহে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ও দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন রাজীব |