নিজেস্ব সংবাদদাতা :-এই নিয়ে ৫৭ দিনে পড়ল কৃষকদের আন্দোলন কিন্তু কৃষকরা এখনো নিজেদের দাবিতে অনড়। তাদের দাবি সরকারকে অবিলম্বে তিনটি কৃষি বিল প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যদিকে সরকারের তরফে একাধিক প্রস্তাব দেওয়ার পরেও মেলেনি সমস্যার সমাধান। সরকারের এই বিলের বিরুদ্ধে পাঞ্জাব, হরিয়ানার বহু কৃষক ট্রাক্টর নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল বের করেছিলেন ঠিকই কিন্তু এবার আগামী ২৬ জানুয়ারির ট্রাক্টর মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্র।
এদিন জানানো হয় নিরাপত্তার কারণেই প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন দেশের রাজধানীর সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকরা ট্রাক্টর মার্চ করতে পারবেন না। প্রসঙ্গত, গত মাস থেকে কৃষকরা নয়ডা-দিল্লি লিঙ্ক রোড আটকে আন্দোলনে বসে। ফলে সাধারণ মানুষের যাতায়াতে নিত্য ভোগান্তি শুরু হয়। ক্রমেই এই আন্দোলন মারমুখী হয়ে পড়ে, এমনকি সেই আগুন এখনো জ্বলছে। দেশের আম জনতা থেকে একাধিক বলি তারকা এই আন্দোলন নিয়ে মুখ খুলেছেন। কিন্তু সরকার কোনভাবেই মধ্যস্থতা করতে অনিচ্ছুক, ফলত চারিদিকে ছড়াচ্ছে হিংসার আগুন। আন্দোলনে একাধিক কৃষক মারা গিয়েছেন, কিন্তু তাও আন্দোলনের আঁচ কমেনি এখনো। যতদিন যাচ্ছে ততোই একধাপ করে অন্যদিকে এগোচ্ছে কৃষকদের আন্দোলন। গত মাসেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান না হলে কৃষক আন্দোলন অচিরেই জাতীয় সমস্যা হয়ে উঠবে। কেন্দ্রের বক্তব্য নয়া কৃষক বিলে তাঁদের কোনও ক্ষতি হবে না। অন্যদিকে কৃষকরাও তা মেনে নিতে রাজি নন। আর দুপক্ষের এই মতের অমিল এখন ঝামেলার আগুনে পরিণতি পাচ্ছে অবিরত।