প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- একুশের নির্বাচনে জিতে হ্যাট্রিক করেছে তৃণমূল কংগ্রেস | এবার তৃতীয়বার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ হচ্ছে | করোনা ভাইরাসের জেরে ভার্চুয়াল সমাবেশের উপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে| ভার্চুয়াল সভা বলে ঢিলেমি দিলে চলবে না | বরং আরও বেশি করে শক্তিপ্রদর্শন করতে হবে | এবার এই রাজ্যের পাশাপাশি ভিন রাজ্যেও দেখানো হতে চলেছে ২১ জুলাইয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা | কিন্তু তাতেও ভার্চুয়াল সমাবেশে রেকর্ড কর্মীর অংশগ্রহণ চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস | এই শহিদ সমাবেশে অন্তত ৫০ লক্ষ কর্মী–সমর্থকদের উপস্থিতি চাইছে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব |ইতিমধ্যেই সেই মর্মে নির্দেশ চলে গিয়েছে দলের সর্বত্র| এবারের নেতৃত্বদের নির্দেশ গিয়েছে দুটি দফায় পালন করতে হবে শহিদ দিবস | প্রথমটি সকাল ১০ টার মধ্যে বুথে সর্বাধিক ৫০ জন কর্মী কিংবা সমর্থকদের নিয়ে শহিদ দিবস পালন করতে হবে করোনা বিধি মেনে | দলীয় পটাকা উত্তোলন করে শহিদ বেদীতে মাল্যদান করতে হবে | তারপরেই দ্বিতীয় দফায় একটি নির্দিষ্ট জায়গায় জায়ান্ট স্ক্রিন বা টিভি বা পর্দা খাটিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ দুপুর ২ টা থেকে শুনতে হবে | দায়িত্ব সহকারে প্রত্যেক বিধায়ককে নিজেদের এলাকায় থাকতে বলা হয়েছে| তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কালীঘাটের কার্যালয় থেকে বক্তব্য রাখবেন | বেশিরভাগ বুথেই কীভাবে ২১ শে জুলাই পালন হচ্ছে তার ছবি ও ভিডিও পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে এলাকার বিধায়করা | দলীয় নির্দেশ অনুযায়ী, এই ৫০ লক্ষ টার্গেটে পৌঁছে যেতে প্রতিটি বুথে সকাল ১০টায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ৫০ জন করে কর্মীকে সমবেত হতে হবে | তারপর দলীয় পতাকা উত্তোলন করে শহিদ বেদীতে মাল্যদান করে ১৯৯৩ সালে প্রয়াত শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে হবে | সেই কাজ হয়ে যাওয়ার পর দুপুর ২টোয় ফের বুথে কর্মীদের যেতে হবে | সেখানে টিভি অথবা জায়ান্ট স্ক্রিন লাগিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা শুনতে হবে সবাইকে | কালীঘাটে নিজের দফতর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তৃতা দেবেন | বুথে বুথে শহিদ দিবস পালন এবং পরে দলনেত্রীর বক্তৃতা শোনার ও শোনানোর দায়িত্ব বর্তেছে এলাকার বিধায়কদের উপর | ১ লক্ষ ১,৭৯০ বুথে ৫০ জন করে কর্মী থাকা মানেই ৫০ লক্ষ্য কর্মীর হাজিরা হয়ে যাবে|