নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা :- মগরাহাট বিষমদ কাণ্ডের সাজা ঘোষণা করল আলিপুর আদালত | এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া খোঁড়া বাদশাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত | ২০১১ সালের ১৪ ডিসেম্বর মগরাহাটে বিষমদ খেয়ে ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল | সেই ঘটনায় শনিবার নুর ইসলাম ফকির ওরফে খোঁড়া বাদশাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় | সোমবার আলিপুর আদালতের ষষ্ঠ জেলা বিচারক পুষ্পল সৎপতি তার সাজা ঘোষণা করেন| খোড়া বাদশার বিরুদ্ধে ২৭৩, ৩০২, ৩২৬, ৩২৮ এবং ৪৬(এ) ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল |২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগণার মগরাহাটে সেই চোলাই মদ খেয়ে একের পর এক মানুষ অসুস্থ হয়ে যেতে থাকেন | সেই বিষ মদ খেয়ে মোট ১৭৩জন মারা যান | পঙ্গু হয়ে যান প্রায় শতাধিক মানুষ | ঘটনায় মগরাহাট ও উস্তি থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয় | ২০১৪ সালে বিষমদ-কাণ্ডে জেলা পুলিশের হাত থেকে সিআইডির হাতে তদন্তভার তুলে দেয় রাজ্য সরকার | রাজ্য প্রশাসনও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলিকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল |
ডায়মণ্ডহারবার মহকুমা হাসপাতালে সেই সময় একের পর এক দেহ এসে জমছিল ময়নাতদন্তের জন্য | সেই ছবি দেখে আজও আঁতকে ওঠেন মানুষ ||২০১৮ সালে উস্তি মামলায় সাজা ঘোষণা হয় | সেই মামলায় তাতে খোঁড়া বাদশা সহ ৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন আলিপুর আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারক পার্থসারথি চক্রবর্তী | তবে বেকসুর খালাস পান স্ত্রী শাকিলা বিবি-সহ অন্যান্য অভিযুক্তেরা| শনিবার, আলিপুরের ষষ্ঠ দায়রা বিচারক মগরাহাটের মামলায় খোঁড়া বাদশাকে দোষী সাব্যস্ত করেন | এই মামলাতেও তাঁর স্ত্রী শাকিলা বিবি বেকসুর খালাস পেয়েছেন | এই মামলায় মোট ন’জনকে অভিযুক্ত করে বিচার প্রক্রিয়া চলছিল | মামলা চলাকালীন এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে | প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস পেয়েছেন বাকিরা | তবে এই রায়ে খুশি নয় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলি | কেননা তাঁরা চেয়েছিলেন অভিযুক্তের ফাঁসি হোক | আগামী দিনে তাঁরা সেই দাবি নিয়েই হাইকোর্টে মামলা দায়ের করতে পারেন বলেই জানা গিয়েছে |