নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুর :- বিয়ে করতে যাওয়ার সময় লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ বরের গাড়ির | গুরুতর জখম হন বরপক্ষের ১০ জন | পাত্রও আহত হন| কিন্তু সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা তাঁর দিদি ও ভাগ্নির | কিন্তু এসবের পরও এক প্রশংসনীয় সিদ্ধান্ত পাত্রপক্ষের। প্রায় ঘন্টা খানেক চিকিৎসা চলার পর মাঝরাতে নিজের আহত ছেলেকে বিয়ে করতে পাঠালেন মা | দুর্ঘটনাটি ঘটেছে করনদিঘি থানার বিলাসপুর এলাকায় | রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জ ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা বাবুরাম কর্মকার |পরিবার সূত্রে খবর,তিনি আত্মীয়, বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে বিহারের লাচ্ছোর গ্রামে বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন| পথে করনদিঘি থানার বিলাসপুর এলাকায় লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বরযাত্রীর গাড়ির | প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, ‘বরযাত্রীর গাড়িটির গতিবেগ স্বাভাবিক ছিল | কিন্তু উল্টো দিক থেকে আসার লরির গতিবেগ ছিল বেশি | নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারায় মুখোমুখি ধাক্কা লাগে |’
স্থানীয়রাই প্রাথমিকভাবে উদ্ধার কাজ শুরু করে| পরে পৌঁছয় পুলিশ | আহতদের উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় | চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পাত্রের দিদি ও বছর তিনেকের ভাগ্নির অবস্থা আশঙ্কাজনক | তাঁদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে | দুর্ঘটনায় ডান হাতে চোট পেয়েছেন পাত্র | তবে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর মায়ের নির্দেশে ডান হাতে ক্ষত নিয়েই মধ্যরাতে বিয়ে করতে যান বাবুরাম | তাঁর মা চাঁদমনি কর্মকারের বক্তব্য, ‘একটা মেয়ের জীবন নষ্ট হয়ে যাবে? সেটা ভেবেই ছেলেকে পাঠালাম। এখন আমার ছেলে অনেক সুস্থ |’ পরিবারের অনান্য সদস্যদেরও বক্তব্য, দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে| কিন্তু বিয়েটা না হলে মেয়েটাকে গ্রাম্য সমাজে নীচু নজরে দেখা হতে পারে |