নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদহ :- নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি মালদহের ভূতনির কেশবপুরে | সেখানে গঙ্গার বাঁধ ভেঙে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে | ইতিমধ্যেই সেখানকার একাধিক গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে | যদিও অস্থায়ী বাঁধ এর মাধ্যমে জল আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে | এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কেশরপুর শ্মশান সংলগ্ন এলাকায় ভুতনি বাঁধের প্রায় ১০০ মিটার অংশ গঙ্গার জলের তোড়ে ভেঙে যায় | এর ফলে জল ঢুকে পড়ে ভূতনির কিছু এলাকায় | তবে এই রিং বাঁধের আধ কিলোমিটার পেছনদিকে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে তৈরি আরও একটি রিং বাঁধ থাকায় গ্রামে জল ঢোকেনি | অস্থায়ী বাঁধের মাধ্যমেই জল আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে | এই পরিস্থিতি রীতিমতো চিন্তায় ফেলেছে প্রশাসনকে | এই পরিস্থিতি সামলাতে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক, ব্লক অফিসের কর্মী ও সেচ দফতরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন | পাশাপাশি মালদহের মানিকচকে তিনটি গ্রামে গঙ্গার জল ঢুকতে শুরু করেছে|মানিকচকের জোতপাট্টা, রামনগর রবিদাসটোলা-এই তিনটি গ্রামে হু হু করে জল ঢুকতে শুরু করেছে |
জল বাড়ছে মালদহের ফুলহার মহানন্দার| ইতিমধ্যেই গঙ্গার জলে প্লাবিত হয়েছে রতুয়া ১ নম্বর ব্লক ও মানিকচক ব্লকের ২৭টি গ্রাম | কয়েকশো পরিবার জলবন্দি | প্রশাসন সূত্রে খবর, গঙ্গার পাড় থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার জন্য জেলার সেচ দফতরের তরফে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে| বেশ কিছু পরিবার নিজেরাই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে | উঁচু জায়গায় ত্রিপল খাটিয়ে ব্যবস্থা হয়েছে সাময়িক আশ্রয়ের | জেলাশাসক জানিয়েছেন, রতুয়া ১, মানিকচক, কালিয়াচক ২ ও ৩ নম্বর এলাকার বিডিওদের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে বলা হয়েছ| মজুত রয়েছে ত্রাণসামগ্রী | দুর্গতদের ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসা হবে| জল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জলবন্দি হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ | বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে ইতিমধ্যেই মানুষকে সরানোর কাজ শুরু করেছে প্রশাসন | প্রস্তুত করা হচ্ছে ত্রাণ শিবির |