নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি :- লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ভুয়ো ফর্ম বিক্রি এবং ফিলাপের নামে টাকা আদায় চলছেই | এবার জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের আমবাড়ি এলাকা থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হল এই অভিযোগে | তাদের মধ্যে এক মহিলাও রয়েছে | শুক্রবার ধৃতদের আদালতে তোলা হয়| পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম বাপি দে সরকার, বাপ্পা দে সরকার,শিখা দে সরকার ও বিশ্বজিৎ মহন্ত ওরফে খোকন| এদের মধ্যে বাপ্পা দে সরকার শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটে সিভিক ভলেন্টিয়ার পদে কর্তব্যরত বলে জানা গিয়েছে | অভিযুক্তদের কাছ থেকে কম্পিউটার, প্রিন্টার মেশিনও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ |
সরকারিভাবে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তার আগেই অভিযুক্তরা ইন্টারনেট থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম ডাউনলোড করে তা পূরণ করে দেওয়ার নামে টাকা আদায় করছিল | আবেদন পত্র পিছু ৫০-৬০ টাকা আদায় করা হত বলে অভিযোগ | মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রত্যেকটি ফর্মে একটি করে ইউনিক কোড থাকবে | এই ফর্মগুলি শুধুমাত্র দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পগুলিতেই মিলবে | অন্যত্র থেকে পাওয়া ফর্ম গ্রহণযোগ্য নয় | এই খবর চাউর হতেই রাজগঞ্জ ব্লকের আমবাড়ি এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয় | এরপর পুলিশ গিয়ে গ্রেফতার করে ৪ জনকে | অভিযুক্তদের আজ জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হয় | গ্রামেরই এক মহিলা বললেন, “আমরা তো জানি না ওত কিছু | আমরা ফর্মটা জমা করে দিলাম | টাকাও নিলেন ম্যাডাম | আমরা তো জানি না কী করতে হবে |” এই ঘটনায় যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প | মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের মাসে মাসে টাকা দেবেন | আর মহিলারা যেহেতু টাকা নষ্ট করে না | তাই এটাকা তারা আবার সংসারের কাজে লাগাবেন | আর এই প্রকল্প নিয়ে যে বা যারা দুর্নীতি করবে, প্রত্যেকে গ্রেফতার হবে|’