নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগণা :- অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিককে শেষপর্যন্ত বিয়ে করতে বাধ্য হলেন পুলিসে কর্মরত প্রেমিক | বুধবার বনগাঁ আদালত চত্বরে প্রেমিকাকে সিঁদুর পরিয়ে, মালাবদল করে বিয়ে করেন উত্তম সরকার নামে ওই পুলিশ কর্মী | আইনজীবীদের সাক্ষী রেখে তরুণীর সিঁথিতে সিঁদুর তুলে দিল প্রেমিক |ঘটনার সূত্রপাত বছরখানেক আগে | সোশ্যাল মিডিয়ায় যুবতীর পরিচয় হয়েছিল নদিয়ার রানাঘাটের উত্তর সরকারের | রাজ্য পুলিশে কর্মরত ওই যুবক| জানা গিয়েছে, চ্যাট থেকেই ধীরে ধীরে ওই যুবতীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে উত্তমের | প্রেমিকাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায় ওই যুবক | অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসও করে | যার জেরে ওই যুবতী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে | উত্তমকে বিষয়টি জানাতেই বিয়েতে বেঁকে বসে উত্তম | এরপরই ২২ মার্চ ওই তরুণী উত্তমের বিরুদ্ধে গোপালনগর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে | অভিযুক্ত উত্তম সরকার রাজ্য পুলিশের ৭ নম্বর ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল | বাড়ি নদীয়া জেলার রানাঘাট থানার হাবিবপুর গ্রামে |
এই পরিস্থিতিতে আজ বুধবার বনগাঁ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত ১ এর বিচারক শান্তনু মুখোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, অভিযোগকারী মহিলাকে বিয়ের পাশাপাশি তাঁর গর্ভস্থ সন্তানের পিতৃত্ব স্বীকার করতে হবে | একইসঙ্গে সামাজিক এবং সরকারিভাবে বিয়ে করতে হবে অভিযোগকারিনীকে | ভবিষ্যতে যাতে তার স্ত্রী এবং সন্তানের উপর কোনও চাপ তৈরি না হয় সে ব্যাপারেও ওই যুবককে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে | বুধবার আদালত চত্বরেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন উত্তম ও ওই যুবতী | বনগাঁ মহকুমা আদালতের আইনজীবী প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অভিযুক্তের আইনজীবী আমাদের কাছে আমার মক্কেলকে বিয়ের কথা বলে | তখন আমরা বেশ কিছু শর্ত দিয়েছিলাম | ওরা তা মেনে নিয়েছে | কথা দিয়েছে ওই যুবতীকে সামাজিক ও সরকারিভাবে স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়ার | দু’পক্ষের আবেদনে সম্মতি দেয় বিচারক | “বনগাঁ আদালতের সরকারি আইনজীবী সমীর দাস বলেন, “অভিযুক্ত গর্ভস্থ সন্তানের পিতৃত্ব স্বীকার করে নিয়েছেন | পরিবার সন্তানকে অস্বীকার করবে না বলে জানিয়েছে |”