প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডের জোড়া খুন কাণ্ডে আটক আরও দুই ব্যক্তি | পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করেছে পুলিশ | ধৃতদের লালবাজারে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে | তবে এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদার | ধৃতদের জেরা করে ভিকির খোঁজ পাওয়া যেতে পারে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা | ধৃত মিঠুর ছেলের কীর্তিতে হতবাক পুলিশ | জানা গিয়েছে, খুনের পর সারারাত ধরে ডিউটি করেছিল মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদার | তার অভিব্যক্তিতেও কোনও কিছু প্রকাশ পায়নি | এইবার ঘটনার চার দিনের মাথায় জোড়া খুনের ঘটনায় মূল চক্রী মিঠু হালদারকে গ্রেফতার করা হয় | এরপর তাঁকে জের করে উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য | জেরায় সে জানায়, লুঠপাট এবং খুনের জন্য তিন জন ব্যক্তিকে ভাড়া করেছিল | তাদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার বিনিময়ে ওই কাজ করতে বলেছিল মিঠু | সঙ্গে ভিকি আর তার এক বন্ধু ছিল | বিষয়টি নিশ্চিত হতেই বাকিদের উদ্দেশে খোঁজ শুরু করে পুলিশ | পাথরপ্রতিমা থেকে যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের নাম জাহির গাজি এবং বাপি মণ্ডল | তবে ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ভিকির এখনও নাগাল পাননি গোয়েন্দারা | বৃহস্পতিবারই কলকাতার নগরপাল সৌমেন মিত্র জানিয়েছিলেন, জোড়া খুনের ঘটনায় রহস্যের সমাধান হয়ে গিয়েছে | এখন শুধু দোষীদের ধরার কাজ চলছে | আপাতত জানা গিয়েছে, জোড়া খুনের সঙ্গে যুক্ত ছিল মিঠু, ভিকি ও আরও চারজন | নতুন করে আটক ব্যক্তিরা আদৌও এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কি না তা জানতেই লালবাজারে জেরা চলছে| যদি যুক্ত হয়ে থাকে, তাহলে তাদের ঠিক কোন কোন কাজে ব্যবহার করা হয়েছি? সেই প্রশ্নও করা হতে পারে | একইসঙ্গে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদারের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা |