দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- করোনা ভাইরাসের নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন নিয়ে বাড়ছে আতঙ্ক | ভারতে চলে এসেছে ওমিক্রন | এবার এই ওমিক্রনের মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজ্য সরকার | যদিও এখনও পর্যন্ত বাংলায় ওমিক্রনে সংক্রমিত হওয়ার কোনও খবর পাওয়া যায়নি | তবে আগেভাগেই ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার | হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওমিক্রন আক্রান্ত সন্দেহভাজনদের একটি আলাদা ওয়ার্ডে রাখা হবে | বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি থাকা কোভিড রোগীর সংখ্যা অনেক কম বেশিরভাগ সময়ই কোভিড ওয়ার্ড ফাঁকা থাকে | রাজ্যে আগত কেউ ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সন্দেহ হলে তাঁদের পৃথক একটি ওয়ার্ডে রাখা হবে | সেখানে তাঁদের রাখা হবে | এরপর তাঁদের লালারসে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হবে জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য| জিনোম পরীক্ষার রিপোর্ট থেকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেলে তাঁকে বেলেঘাটা আইডি বা এম.আর.বাঙুর হাসপাতালের পৃথক আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসা করা হবে | এ নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, পুলিশ প্রশাসন এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী | সেই বৈঠকে ওমিক্রন সংক্রমণ কীভাবে রোখা যায় এবং যদি এই সংক্রমণ পশ্চিমবঙ্গে চলে আসে, তাহলে কী কী পদক্ষেপ করা হবে, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে | রাজ্যে করোনা যখন প্রথম ছড়িয়েছিল, তখন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল| এবারও প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বাইরে থেকে আসা কোনও ব্যক্তির শরীরে ওমিক্রনের সংক্রমণ সন্দেহ হলে তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে রাখা হবে | এই বিষয়ে স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বৈঠকের পর জানান, ‘বিদেশ থেকে রাজ্যে যাঁরা এসেছেন তাঁদের লালারস পরীক্ষা করে কোভিড পজিটিভ কোনও যাত্রী পাওয়া যায়নি | তবে আগামী দিনের কথা ভেবে বেলেঘাটা আইডি এবং এমআর বাঙুর হাসপাতালে পৃথক ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে |’ স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, দু’টি হাসপাতালে ৫০ করে মোট ১০০টি শয্যা চিহ্নিত করা হয়েছে | ডেল্ডা বা ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমিতদের ওয়ার্ডেই তাঁদের চিকিৎসা করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে |