প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- কলকাতায় বাড়ছে ওমিক্রন আতঙ্ক | ওমিক্রনে আক্রান্ত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এক জুনিয়র চিকিৎসক | যদিও ওই চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে | করোনা উপসর্গ ছিল ওই জুনিয়র ডাক্তারের|আরটিপিসিআর টেস্ট করাতে রিপোর্ট পজিটিভ আসে | তারপরেই কল্যাণীতে জিনোম টেস্টের জন্য পাঠানো হয় নমুনা | যাতে দেখা যায় ওই জুনিয়র ডাক্তার ওমিক্রনে আক্রান্ত | তারপরেই বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি করা হয় মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসককে| কোনও বিদেশ সফর ছাড়া ওই ভাইরাসে আক্রান্ত ওই জুনিয়ার চিকিৎসক বলে সূত্রের খবর |সূত্রের খবর, আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে | বেলেঘাটা আইডিতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ওই ওমিক্রন আক্রান্ত জুনিয়র ডাক্তারটিকে | কিন্তু কীভাবে ওমিক্রন আক্রান্ত হলেন জুনিয়র ডাক্তার? প্রথমত, ওই চিকিৎসকের ট্রাভেল হিস্ট্রি নেই, বেশি কারোর সঙ্গে মেলামেশা করেছে সেই তথ্যও পাওয়া যায়নি | চিকিৎসকেরা মনে করছে, মেডিক্যাল কলেজ থেকেই রোগী দেখার মাধ্যমেই ওমিক্রন আতঙ্ক হতে পারে জুনিয়র ডাক্তারটি| কিংবা মেডিক্যাল কলেজে এমন কোনও ব্যক্তির সংস্পর্ষে ওই চিকিৎসক এসেছেন যিনি ওমিক্রনের ভাইরাস বহন করছিলেন | সেক্ষেত্রে বাড়তি চিন্তা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের | রাজ্যে তাহলে ওমিক্রনের প্রবেশ ঘটেছে এটা ধরা যেতেই পারে | ইতিমধ্যেই ওই জুনিয়র চিকিৎসকের সঙ্গে থাকা হস্টেলের আবাসিকদের নিভৃতে থাকতে বলা হয়েছে | বাইরে না যেতেই নির্দেশ দিয়েছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ| এর সঙ্গে ওই আবাসিকদের আরটিপিসিআর টেস্ট করা হয়েছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে| ওমিক্রন আক্রান্ত জুনিয়র চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে |এদিকে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ওই জুনিয়র চিকিত্সক থাকেন কলকাতাতেই,বাড়ি কৃষ্ণনগরে|