দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ১৮ হাজার শূন্যপদের তালিকা চেয়ে পাঠালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় | সোমবার তিনি বলেছেন, দু’-তিন দিনের মধ্যে রাজ্যের প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শূন্য পদের তালিকা তাঁর কাছে জমা দিতে হবে| কারণ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে তাঁর কাছে খবর এসেছে, আদালতের জন্যই না কি ওই শূন্যপদে চাকরি প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া যাচ্ছে না |’কোথায় ১৮ হাজার শূন্যপদ’? স্কুলশিক্ষা দফতরকে ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট| বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘এটা যদি সত্যি হয়, তাহলে আমি বাধা দূর করব | যদি সত্যি না হয়, তাহলে কিছু পর্যবেক্ষণ দেব |’সম্প্রতি চর্চায় উঠে এসেছে রাজ্যের ১৮ হাজার শূন্যপদের নিয়োগ | অভিযোগ, আইনি জটে ওই শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে রয়েছে | এদিন শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বলেন, “শেষ একমাসে আমি জানতে পেরেছি যে ১৮ হাজার শিক্ষকের চাকরি তৈরি আছে এবং আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণেই এই চাকরিগুলো দেওয়া যাচ্ছে না |” এরপরই বিচারপতির নির্দেশ, কোথায় কত শূন্যপদ আছে স্কুল শিক্ষাদফতরের সচিবকে জানাতে হবে| আগামী ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে দিতে হবে| প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক,নবম-দশম-একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক এবং মাদ্রাসা, কোথায় কত শূন্যপদ আছে জানাতে হবে|লাইব্রেরিয়ান পদের তথ্যও জানাতে পারেন সচিব | ১৮ হাজার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে আদালতের কী নিষেধাজ্ঞা আছে সেটাও জানাতে হবে সচিবকে| এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি | তাঁর কথায়, “এই ১৮ হাজার নিয়োগে যদি আদালতের কোনও বাধা না থাকে তাহলে নিয়োগের জন্য কী ব্যবস্থা করা যায় বা বাধা থাকলেও কী ব্যবস্থা করা যায় সেটা আমি দেখব |” একইসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, “বিচার ব্যবস্থাকে রাজনীতির ময়দানে টেনে নামানো হোক এটা আমি চাই না|”প্রসঙ্গত, এবারের একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগের জন্য ১৭,০০০ পদ তৈরি আছে | কোর্টে কেস চলছে বলে নিয়োগ করতে পারছি না |’ সঙ্গে বলেছিলেন, ‘আমরা চাই চাকরি হোক, বিজেপি চায় চাকরি যাক | বিজেপি কুটুস-কুটুস করে কামড়াচ্ছে|’ সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই হাইকোর্ট তালিকা পেশের নির্দেশ দিয়েছে কিনা, তা অবশ্য জানানো হয়নি |