দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- প্রাথমিক শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশে কার্যত শিলমোহর পড়ে গেল। সেই সঙ্গে সিবিআই তদন্তের বিষয়টিও বহাল রাখা হল। সেই সঙ্গে সিবিআই তদন্তের বিষয়টিও বহাল রাখা হল। এদিন হাইকোর্টের প্রশ্ন, কেন ২৬৯ জনকে বাড়তি ১ নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তা স্পষ্ট নয়। সেই সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে মানিক ভট্টাচার্যের অপসারণের নির্দেশ বহাল রাখা হয়েছে। এর আগে ২০১৪ সালের টেট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং চাকরি বাতিল হওয়া ব্যক্তিরা। এই তদন্ত কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে হোক, তা চায়নি পর্ষদ। তাঁর সেই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল আগেই। স্থগিত ছিল রায়দান। শুক্রবার সকালে উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ ৮৫ পাতার নির্দেশনামা দিয়ে বহাল রাখল সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কেই। অর্থাৎ টেট দুর্নীতি মামলার তদন্ত করবে সিবিআই-ই। পাশাপাশি এদিন পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর অপসারণের সিদ্ধান্তও বহাল রাখা হল।রায় ঘোষণার পর সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানিয়েছেন, এই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ কোনও হস্তক্ষেপ করেনি। যেভাবে আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চলছিল, তেমনই চলবে এবং উচ্চ আদালতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর রিপোর্ট দিয়ে তদন্তের অগ্রগতি জানাতে হবে। ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলই থাকবে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ২৬৯ জনকে পুনর্বহাল নয়। এককথায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতিটি নির্দেশই বহাল রেখেছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লপিতা বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal