প্রসেনজিৎ ধর :- টিটাগড়ে ক্লাস চলাকালীন সরকারি স্কুলের ছাদে বিস্ফোরণ। ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। শনিবার বেলা ১১.৪৫ মিনিট নাগাদ এই বিস্ফোরণ হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। কী করে স্কুলের ছাদে বোমা এল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি সংগ্রহ করা হয়েছে নমুনাও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার পৌনে ১২টা নাগাদ স্কুলের ছাদে এই বিস্ফোরণ ঘটে। টিটাগড়ের সাউথ স্টেশন রোড এলাকায় অবস্থিত ওই স্কুলে এই বিস্ফোরণের পর হুড়োহুড়ি পড়ে যায় পড়ুয়াদের মধ্যে। ওই এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়ায়। দিনে দুপুরে এই বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে স্কুলের এক শিক্ষক জানান, সেকেন্ড পিরিয়ড চলছিল, ক্লাসে ছিলাম। আচমকা বিকট আওয়াজ পাওয়া যায়। এরপর বাইরে বেরিয়ে দেখি ছাদে বিস্ফোরণ হয়েছে। স্কুলে বোমা বিস্ফোরণের পর ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর দেওয়া ঘয় টিটাগড় থানায়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌছয় পুলিশ। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছয় । স্কুলের ছাদে কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটল তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। বাইরে থেকে কেউ বোমা ছুঁড়েছিল স্কুলের ছাদে, নাকি মজুত করা ছিল বোমা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।এই ঘটনা নিয়ে সাংসদ অর্জুন সিং জানান, ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে স্কুলের ছাদে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। বিস্ফোরণের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুলের ছাদের একাংশ।
ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্তের পর ডেপুটি পুলিশ কমিশনার আশিস মৌর্য জানান, ”বিস্ফোরণ হয়েছে, এটা নিশ্চিত। তবে কোথা থেকে বোমা স্কুলে এল, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। বিষয়টি এখনও তদন্ত সাপেক্ষ।” তবে প্রাথমিক অনুমান, বাইরে থেকেই বোমা ছোঁড়া হয়েছিল।স্কুলের সহ-শিক্ষক খালিদ তনভীর বলছেন, ”আমি ২৫ বছর ধরে এই স্কুলে আছি। কোনওদিন এমন অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হয়নি। সেকেন্ড পিরিয়ডে ক্লাস চলছিল। আচমকা প্রচণ্ড শব্দ শুনতে পাই। দেখা যায়, ছাদে বিস্ফোরণ ঘটেছে। যদিও হতাহতের খবর নেই। কিন্তু আমরা আতঙ্কিত। কীভাবে বোমা বিস্ফোরণ হল বুঝতে পারছি না।” টিটাগড় পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মহম্মদ জলিল বলেন, ”খবরটা পেয়ে এসেছি। সবাইকে আশ্বস্ত করেছি, ভয় পাবেন না। পুলিশ তদন্ত করছে। কারা এর সঙ্গে জড়িত তা ধরা পড়বে।”