প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- বিজেপির অন্দরেই জোর জল্পনা – ডিসেম্বরে বঙ্গ-বিজেপির সংগঠনে আমূল রদবদল হবে। বহু নেতা রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়বেন। জেলা কমিটিগুলিও ঢেলে সাজা হবে। এমনকী, বর্তমানে যাঁরা বঙ্গ-বিজেপিতে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন, তাঁদেরও কারও কারও নাম কাটা যেতে চলেছে। সব মিলিয়ে আপাতত ডিসেম্বরে দৃষ্টি বিজেপি নেতা-কর্মীদের।বিজেপির অন্দরে জোর জল্পনা – ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপির কমিটিতে রদবদল হবে। সুকান্তর জমানায় বাদ পড়া পুরোনো নেতাদের অনেকে কমিটিতে ফিরতে পারেন। বাদ যেতে পারেন বর্তমানের বেশ ক’জন পদাধিকারী। রাজ্যের এক বিজেপি বিধায়কের কথায়, “আমাদের দলের সাংগঠনিক নেতাদের সঙ্গে পরিষদীয় নেতাদের কোনও সমন্বয় নেই। শুভেন্দু একাধিকবার এ বিষয়ে উদ্যোগী হয়েও পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে পারেননি। রাজ্য পদাধিকারীদের কমিটি ঢেলে না সাজা হলে সমন্বয় গড়ে উঠবে না। শুনছি, ডিসেম্বরে কিছু একটা হবে |”দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, “ডিসেম্বরে গোটা দেশেই সাংগঠনিক নির্বাচন হওয়ার কথা। তখন এ রাজ্যেও কিছু পরিবর্তন হতে পারে। তবে এ বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই নেবেন।” রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, ডিসেম্বরে সাংগঠনিক রদবদলের গুঞ্জন তাঁর কানে পৌঁছয়নি। তিনি বলেন, “সাংগঠনিক নির্বাচনের সময়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে রদবদল করা হবে। তবে এ সব নিয়ে কোনও গুঞ্জন আমি শুনিনি।”নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক শীর্ষনেতা বলেন, ‘গত একবছরে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের ভূমিকায় প্রচণ্ড বিরক্ত অমিত শাহ–জেপি নাড্ডারা। তাই রাজ্য নেতাদের পাঠানো দুর্গাপুজোয় বাংলায় আসার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন অমিতজি। অথচ পাশের রাজ্য বিহারে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ডিসেম্বর মাসে রাজ্য বিজেপির একাধিক তাবড় নেতাকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। সেটাই এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে।’বিজেপির অন্দরে চলা ‘ডিসেম্বর রহস্য’কে নিশানা করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “সাংগঠনিক রদবদল বিজেপির অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু বিজেপির আদি কর্মীরা যে শুভেন্দু-সুকান্তদের চাইছেন না, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। ডিসেম্বরের পর রাজ্য সরকার বহাল তবিয়তেই থাকবে, বাংলায় বিজেপির অস্তিত্ব থাকলে হয়!”