দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- রাজ্যে শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট |রাজ্যের কোনও স্কুলে ছাত্র শিক্ষক অনুপাত বেশি থাকলে তা অবিলম্বে পূরণ করতে হবে। এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এজন্য প্রশাসনিক বিধি প্রয়োগ করে যে কোনও শিক্ষককে রাজ্যের যে কোনও স্কুলে বদলি করা যেতে পারে। ১ সপ্তাহের মধ্যে এব্যাপারে শিক্ষা দফতরের পরিকল্পনা রিপোর্ট আকারে জানতে চেয়েছে আদালত।এদিন বিচারপতি বসু বলেন, যে সমস্ত স্কুলে ছাত্রের তুলনায় শিক্ষক বেশি সেখান থেকে ছাত্রের তুলনায় শিক্ষক কম এমন স্কুলে শিক্ষকদের বদলি করতে হবে। ইতিমধ্যে আদালত জানিয়েছে, কলকাতার ১১৫টি সরকারি স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা ৫০০। কিন্তু গড়ে ৫০ জন করেও পড়ুয়া নেই সেই স্কুলগুলিতে। উলটো দিকে জেলায় বহু স্কুলে ছাত্র থাকলেও শিক্ষকের অভাবে স্কুল বন্ধ হতে বসেছে।পুরুলিয়ার এক স্কুলের শিক্ষক বদলি মামলায় হাইকোর্ট এবার কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। গত মাসে এই শুনানিতে ভর্ৎসনার মুখে পড়েন মামলাকারীরা। পড়ুয়াদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে সরব হন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি মন্তব্য করেন, ”শিক্ষকদের বেতন-সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকার থাকলে, ছাত্রদেরও উপযুক্ত শিক্ষার অধিকার রয়েছে। এই আদালত ওই পড়ুয়াদের জন্য চিন্তিত।”
এদিন বিচারপতি বসু জানিয়েছেন, কলকাতার স্কুলের শিক্ষকদের জেলায় যেতে হবে। অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে আলোচনা করেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এই মামলায় এর আগেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি বসু। তিনি বলেন, এভাবে চলতে থাকলে তো গ্রামের স্কুল ফাঁকা হয়ে যাবে। আদালতের নির্দেশে ৭ দিনের মধ্যে শূন্যপদ পূরণের পরিকল্পনা জমা দিতে হবে শিক্ষা দফতরকে।এরপর শুক্রবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চ কড়া নির্দেশ দিয়ে জানায়, প্রশাসনিক বদল গাইডলাইন মেনে শিক্ষক বদলি করতে হবে। প্রয়োজনে দূরের স্কুলেও যেতে হবে। শিক্ষকদের মর্জিমাফিক আর কিছু হবে না।