দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। পড়ুয়াদের সঙ্গে কর্মীদের বচসা বাঁধে। ক্রমেই তাদের বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। দুপক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার। দুপক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে মারধর পালটা মারধরের অভিযোগ তুলেছে।সূত্রের খবর, মঙ্গলবার হঠাৎই পড়ুয়া ও কর্মীদের মধ্যে বিবাদের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। ঝামেলার দরুণ সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায় নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মী ও এক ছাত্রী আহত হন। জানা গিয়েছে, মারামারিতে মুখ ও হাত ফেটে গিয়েছে সন্দীপবাবুর। এখানেই শেষ নয়, বিবাদের জেরে বেশ কিছুক্ষণ ক্যাম্পাসে আটকে ছিলেন রেজিস্ট্রার | উল্লেখ্য,রবীন্দ্রভারতীর জোড়াসাঁকোর ক্যাম্পাসে তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির কার্যালয় খোলাকে ঘিরে কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত মামলা গড়ায়। কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট তলব করে হাইকোর্ট। এমনকী কর্মসমিতির বৈঠকে তিন শিক্ষাকর্মীর প্রতিষ্ঠানে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বাপ্পা নামে এক তৃণমূল ছাত্রনেতারও ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে কান পাতলে শোনা যায় ওই ছাত্রনেতার বিরোধী গোষ্ঠী তাঁর অনুপস্থিতিতে ক্য়াম্পাসে নিজেদের ক্ষমতা দিনদিন বৃদ্ধি করছিল। এই বিষয়টিকেই মেনে নিতে পারেনি বাপ্পার অনুগামীরা। ফলত সেই নিয়েই বচসা গড়ায় গতকাল। আর তারপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, এই ঝামেলার সূত্রপাত মূলত রবীন্দ্রভারতীর জোড়াসাঁকোতে তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির কার্যালয় খোলাকে কেন্দ্র করে। ঘটনাযর জেরে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও দায়ের হয়েছিল। পরে কলকাতা হাইকোর্ট তিন শিক্ষাকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে।
এমনকী বাপ্পা নামে এক তৃণমূল ছাত্রনেতাকেও প্রতিষ্ঠানে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তারপর থেকে বাপ্পার বিরোধী গোষ্ঠী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি করছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু, সেই বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি বাপ্পার অনুগামীরা। মূলত তা নিয়ে গতকাল পড়ুয়াদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের বচসা বাঁধে।ক্রমেই তাঁদের বচসা হাতাহাতিতে পৌঁছয়। ঘটনায় সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক কর্মী এবং এক পড়ুয়া আহত হয়েছেন। ঘটনার জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকেন রেজিস্ট্রার। এই ঘটনায় ছাত্রীরা যেমন কর্মীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছেন তেমনি কর্মীরাও পাল্টা পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে আপাতত থমথমে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকর্মী আদিবাসী দম্পতিকে জাত তুলে অপমান করার পাশাপাশি মারধরের অভিযোগ উঠেছিল।