দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ফের চাকরি বাতিলের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। এবার এসএসসিকে গ্রুপ-ডি’র ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির পর্যবেক্ষন, নিয়োগে বেনিয়ম ছিল। সুপারিশ সঠিক ছিল না। বিচারপতি জানান,’আমার বিশ্বাস দুর্নীতি করে এই সব প্রার্থীদের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল।’ তাঁর নির্দেশ, ১৯১১ জনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই। বৃহস্পতিবার এসএসসি গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের মামলায় চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর তার জন্য কমিশনকে মাত্র ২৪ ঘণ্টা সময় দেন তিনি। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার কথা জানায় কমিশন। আর তারপরই বিচারপতির নির্দেশ, কারচুপি হয়েছে, তা যখন কমিশন বুঝতে পেরেছে, তাহলে কেন চাকরি বাতিল করছে না? এরপরই তিনি নির্দেশ দেন, ২৮১৯ জনের তালিকা আলাদা করে প্রকাশ করে তাঁদের চাকরি বাতিল করতে হবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে।সেই তালিকা প্রকাশের পরই কমিশনকে ১,৯১১ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।
প্রয়োজনে ১,৯১১ জনকে হেফাজতে নিয়ে সিবিআইকে জিজ্ঞাসাবাদের কথাও বলেন তিনি। শুক্রবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ দেওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই পরই ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওই প্রার্থীদের সুপারিশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে এসএসসি। এ বার আইন মেনে চাকরি বাতিল করবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বেআইনিভাবে নিয়োগের কথা শুক্রবার আদালতে স্বীকার করে নেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী। তিনি বলেন,’১,৯১১ জন গ্ৰুপ-ডি প্রার্থীকে অন্যায় ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল।’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান,ওই সময় এসএসসি-র চেয়ারম্যান কে ছিলেন। এসএসসি-র আইনজীবী জবাব দেন, সুবীরেশ ভট্টাচার্য। কমিশন তথ্য যাচাই করে আদালতে হলফনামা দিয়ে স্বীকার করে, ওই সব প্রার্থীর ওএমআর শিটে কারচুপি করে চাকরির সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল।