দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-স্কুলের মধ্যে এক ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বীরভূমের লাভপুরে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিভাবক বনাম নিরাপত্তারক্ষীদের খণ্ডযুদ্ধ বাধে। জোর করে স্কুল চত্বরে ঢুকতে গেলে অভিভাবকদের বাধা দেওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, লাভপুরের কেন্দ্রীয় স্কুলের ভিতর থেকে এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার নাম রানিজা পারভিন। ১৭ বছর বয়সি ওই ছাত্রীর বাড়ি ময়ূরেশ্বরের দোগাছি গ্রামে।ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, বুধবার সকাল ৬টা নাগাদ স্কুল থেকে তাদের ফোন করে জানানো হয় যে, রানিজার শরীর খারাপ। লাভপুর প্রাথমিক হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়েছে। কিন্তু সেখানে গিয়ে নাবালিকাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা।তাজমীরা বিবির অভিযোগ, মেয়ের গলায় ক্ষতচিহ্ন ছিল। এমন চিহ্ন যা গলায় ফাঁস লাগালে হয়।
মেয়ের মৃত্যুর জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকেই তিনি দায়ী করেছেন।লাভপুরের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে রানিজার স্থানীয় অভিভাবক হিসেবে তার পিসতুতো দাদা শেখ সফিউল্লার নাম নথিভুক্ত করা হয়েছিল। তাঁর দাবি, স্কুলে ভাল রেজাল্ট করত রানিজা। তার ব্যবহারে কোনও অস্বাভাবিকত্ব ছিল না। ঘটনার পরই ময়ুরেশ্বর থেকে বেশ কিছু মানুষ লাভপুরের নবোদয় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের সামনে হাজির হন। কিন্তু স্কুলে পরীক্ষা চলছিল। তাই কোনও বিক্ষোভ তাঁরা দেখাননি। তবে এই মৃত্যু কীভাবে হল, তা জানার দাবি জানানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত স্কুলের পক্ষ থেকে কোনও বিবৃতি বা প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।