দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-দোলের সকালে হরিদেবপুরের রাস্তায় উদ্ধার হল এক মহিলার দেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। মৃতদেহটি প্রথম চোখে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। হাসপাতালে পাঠানো হয় মহিলার দেহ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এদিন সকালে অজ্ঞান অবস্থায় প্রথম মৃতদেহটি চোখে পড়ে তাদের। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় মহিলাকে।জানা গিয়েছে, হরিদেবপুরের জীবনমোহিনী ঘোষ পার্ক এলাকার রাস্তার পাশে মহিলার দেহ পড়েছিল। স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেন। প্রথমে পুলিশকে জানানো হয়েছিল মহিলা জ্ঞানহীন অবস্থায় রাস্তায় পড়ে রয়েছেন। দেহ উদ্ধার করে এমআর বাঙুর হাসপাতালে পাঠানো হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।স্থানীয় সূত্রে খবর, মহিলার শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। আর পোশাক দেখে তাঁকে স্বচ্ছল মধ্যবিত্ত পরিবারেরই মনে হচ্ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম ডালিয়া চক্রবর্তী। তিনি বিবাহিত। বয়স ৩০ থেকে ৩৫-এর মধ্যে। বাড়ি নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়। হরিদেবপুরে তাঁর এক বন্ধুর বাড়ি বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। সোমবার বিকেলে ডালিয়া নরেন্দ্রপুরের বাড়ি থেকে বেরোন। বাড়িতে জানিয়েছিলেন, কারও কাছে পাওনা টাকা আনতে যাচ্ছেন। কিন্তু তিনি কি হরিদেবপুরে আসবেন বলে বেরিয়েছিলেন? জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
ডালিয়া কার কাছ থেকে টাকা আনার জন্য সোমবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন, তা জানতে পারলে মৃত্যু রহস্য আরও স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। হরিদেবপুর থানার পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশের হোমিসাইড শাখাও। ডালিয়ার স্বামী রাহুল-সহ পরিবারের অন্যান্যরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলছেন।মঙ্গলবার সকালে হরিদেবপুরের একটি গলির কোণে এক তরুণীকে পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। কাছে গিয়ে দেখা যায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। শুরু হয় মৃতার পরিচয় জানার চেষ্টা। তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে মহিলার বাড়ি নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়। সোমবার বিকেলে তিনি বাড়ি থেকে বেরোন। কিন্তু কোথায় যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন, তা জানাননি, শুধু বলেছিলেন, কারও থেকে পাওনা টাকা আনতে যাচ্ছেন। পুলিশের অনুমান, তরুণীকে অন্য কোথাও খুন করে তার পরে হরিদেবপুরে ফেলে যায় আততায়ীরা। টাকা নিয়ে গোলমালেই কি ডালিয়াকে খুন করা হল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ডালিয়ার গলায় ফাঁসের দাগ রয়েছে। তা দেখে পুলিশ মনে করছে, শ্বাসরোধ করেই ডালিয়াকে খুন করা হয়।