Breaking News

কাজের লোভে ভারতে অনুপ্রবেশ!বাংলাদেশি নাবালিকাকে মহেশতলার ফ্ল্যাটে আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ, ধৃত ২

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বাংলাদেশের নাবালিকাকে চাকরি দেওয়ার জন্য নিয়ে এসে এক বহুতলে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল দু’জনকে । ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলাতে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা এলাকাজুড়ে। ধর্ষণের অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার পুলিশ |ধৃতদের নাম হল ইমরান মোল্লা এবং শেখ বাপি। ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মহেশতলা এলাকায়।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটির বাড়ি বাংলাদেশের বরিশালে। ভারতে একটি শাড়ি তৈরির কারখানায় কাজ করার জন্য ভারতে আসে। তবে ওই মহিলা তাকে ওই কারখানায় কাজ দিতে পারেননি। তবে তিনি নাবালিকাকে জানান কলকাতায় বার ডান্সারের কাজ করে দিতে পারবেন। এরপর ওই নাবালিকা বাংলাদেশে তার পরিচিত এক যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ওই নাবালিকাকে মহেশতলার এক ব্যাক্তির নম্বর দেন যুবক।

সেই মতো আমিন আলি নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই নাবালিকা। সেইমতো ওই নাবালিকাকে বাটানগরের নিয়ে যান ওই যুবক। সেখানে শেখ বাপি ওই নাবালিকাকে নিজের ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। সে নিজেকে পুলিশ পরিচয় দেয়। অভিযোগ সেখানেই নাবালিকাকে আটকে রেখে যৌন নির্যাতন চালায় বাপি এবং তার বন্ধু ইমরান। সেখানে তাকে দফায় দফায় গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।এদিকে, নাবালিকার চিৎকার চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা স্থানীয় থানায় ফোন করেন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। তড়িঘড়ি পুলিশ ওই নাবালিকাকে ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে ডাক্তারি পরীক্ষার পর ওই নাবালিকাকে হোমে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, ঘটনায় পুলিশ বাপি ও ইমরানকে গ্রেফতার করে। এর পাশাপাশি আমিনের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এর আগেও তারা এই ধরনের অপরাধ করেছে কি না তা জানার জন্য ধৃতদের আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন জানায় পুলিশ। সেই আর্জি মেনে ধৃত দুজনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানায় পুলিশ। পাশাপাশি আরও কারা জড়িত রয়েছে পুলিশ তা জানার চেষ্টা করছে।অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলার রুজু করেছে মহেশতলা থানার পুলিশ।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *