Breaking News

‘নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আলাদা র‍্যাকেট শান্তনুর’, দাবি ইডির,৫ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ শান্তনুকে!

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়-কে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শান্তনুকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এদিন তাঁকে আদালতে তোলা হলে জামিনের আবেদন জানান শান্তনু। সেই আবেদন খারিজ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিন আদালত থেকে বেরনোর সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শান্তনু বলেন, আমি যদি দোষী হই শস্তি পাব। নির্দোষ হলে আগামী দিনে জানতে পারবেন। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বড়সড় দাবি তদন্তকারী সংস্থার ইডির। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আলাদা র‍্যাকেট চালাতেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। কুন্তলকে ছাড়াই নিজে চাকরি বিক্রির নামে টাকা তুলতেন শান্তনু, দাবি ইডি-র। এই নিয়ে মিলেছে তথ্যও, দাবি তদন্তকারী সংস্থার। মোট ৩০০ জন চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা পাওয়া গেছে শান্তনুর কাছে, খবর ইডি সূত্রে | এদিনই ফের আদালতে তোলা হয় শান্তনুকে। আদালতে খারিজ হয় জামিনের আবেদন। ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। ৫ এপ্রিল পর্যন্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এদিনই সওয়াল জবাবের সময় শান্তনু বন্দোপাধ্যায়ের জামিনের বিরোধিতা করে ইডির আইনজীবী বলেন, ‘একটা সোনার খনি ছিল, এটা আগের দিন বলেছিলাম ।

অয়ন শীল সেই সোনার খনি। অয়ন শীলের গ্রেফতারি এই মামলার তদন্তের গতিপ্রকৃতি বদল করে দিয়েছে। শিক্ষক ছাড়া পুরসভার চাকরিতেও দুর্নীতি হয়েছে। মজদুর থেকে সুইপার সবক্ষেত্রে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে। আমরা সোনার খনির কথা বলেছিলাম। আমরা সেখানে প্রবেশ করেছি। আর দেখছি সেটা অসীম এবং অনন্ত। যে তথ্য পাচ্ছি, তাতে আরও কয়েকজন প্রভাবশালীর নাম আসছে। প্রকাশ্য আদালতে বলছি না। কিন্তু কেস ডায়েরিতে আছে।’ইডির আইনজীবী আরও বলেন, ‘দুর্নীতির মোডাস সম্পর্কে আমরা জানতে পেরেছি যে পার্থ চট্টাপাধ্যায় দুর্নীতির পথ দেখিয়েছেন। তিনি এই বিষয়ে শিক্ষক ছিলেন। আর এরা সেই পথ ফলো করেছেন। শান্তনু ছিলেন ছাত্র। ভুয়ো কোম্পানি তৈরি করে টাকা রোল করেছেন। সাদা টাকা কালো করেছেন। ১৩টি সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে শান্তনুর নামে। এছাড়া আরও ৫টি বেনামে সম্পত্তি কেনা হয়েছে। ভুয়ো কোম্পানি খুলে ডামি লোকেদের ডিরেক্টর করা হয়েছে। মাত্র ৬ লাখ টাকা বার্ষিক আয়, কিন্তু সম্পত্তি কোটি কোটি টাকার।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *