Breaking News

বন্দুক উঁচিয়ে মালদায় স্কুলের ক্লাসরুমে যুবক, সঙ্গে অ্যাসিড-চাকুও!আতঙ্কে পড়ুয়ারা

দেবাশিস পাল,মালদহ :- ইদানীং আকছার দেখা যাচ্ছে, মার্কিন মুলুকে স্কুলগুলিতে বন্দুকবাজরা হামলা করছে বা ছাত্রছাত্রীদের পণবন্দি করছে। বাংলায় তথা ভারতে এই প্রথম তা দেখা গেল। মালদহে মুচিয়া চন্দ্রমোহন হাইস্কুলের ক্লাস রুমে পিস্তল হাতে ঢুকে পড়েছে এক ব্যক্তি।শুধু বন্দুক নয়, সেই যুবকের সঙ্গে ছিল অ্যাসিডের বোতল, চাকুও। যা দেখে আতঙ্কিত পড়ুয়ারা। জানা গিয়েছে ক্লাস সেভেনের ক্লাসরুমে ঢুকে পড়ে সেই যুবক। সেখানে প্রায় ঘণ্টাখানেক থাকে সে। ব্যাগ থেকে বের করে বন্দুক। আর সেই বন্দুক উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ক্লাসরুমের মধ্যে। যা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি ঘটে পুরাতন মালদার মুচিয়া চন্দ্র মোহন হাইস্কুল। স্কুল সূত্রে খবর, এদিন ক্লাস সেভেনের ওই ঘরে ঢুকে পড়ে এক যুবক। তার হাতে ছিল বোতল। এবং ব্যাগ। ব্যাগ থেকে বন্দুক বের করে সে স্কুলের পড়ুয়াদের শাসানি দিতে থাকে। যা দেখে আতঙ্কে কাঁপতে থাকে পড়ুয়ারা। স্কুলের ক্লাসরুমে ঢুকেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছাত্রদের আটক করে রাখে ওই যুবক। সূত্রের খবর, ওই যুবক কোনও একজন ছাত্রের বাবা।

ওই ব্যক্তির দাবি তাঁর ছেলে নিখোঁজ। ছেলেকে খুঁজে দিতে হবে বলেই তিনি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন। ওই ব্যক্তি এলাকারই বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে পুলিশ।রোজকার মতো এদিন ক্লাস চলছিল মালদহের স্কুলটিতে। আচমকাই পঞ্চম শ্রেণির ক্লাসরুমে পিস্তল হাতে ঢুকে পড়েন রাজু বল্লভ নামে এক ব্যক্তি।

কাঁধে ব্যাগ, এক হাতে পিস্তল ও অন্য হাতে ধরা সাদা কাগজ। টেবিলের উপর মুখ ঢাকা দু’টি কাঁচের বোতল। আচমকা এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পড়ুয়ারা। আতঙ্কে কাঁপতে থাকে তারা। ক্লাসের বাইরে থেকে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা চলে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এদিকে খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পৌঁছয় স্কুলে। আসেন মালদহের পুলিশ সুপারও।স্কুলের গেটের বাইরে ভিড় জমান উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা |আচমকাই নীল রঙের পোশাক পরা এক যুবক ঝাঁপিয়ে পড়ে রাজুর উপর। দুজনেই ছিটকে মাটিতে পড়ে যায়। তারপরই তাঁকে ধরাশায়ী করে কেড়ে নেওয়া হয় বন্দুক। আগ্নেয়াস্ত্রগুলি উদ্ধার করে আটক করা হয় ওই ব্যক্তিকে। অন্য পুলিশকর্মীরা নিরাপদে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস থেকে বার করে আনেন।স্কুলের ভিতর কীভাবে বন্দুক হাতে কেউ ঢুকে পড়ল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *