দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিশ্বভারতীর জমিজট কাটেনি। তাই অমর্ত্য সেনকে সেখান থেকে উচ্ছেদ করতে চায় বিশ্বভারতী। এই মর্মে নোটিশও দেওয়া হয়েছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উচ্ছেদের মুখোমুখি দাঁড়াবেন বলেছিলেন। এবার এখানকার বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহাকে নির্দেশ দিলেন সরাসরি অবস্থান করে উচ্ছেদ আটকাতে। আজ, মঙ্গলবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক করার ফাঁকে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিধায়ককে বলে সূত্রের খবর। দীর্ঘদিন ধরে শিরোনামে বিশ্বভারতী ও অমর্ত্য সেনের জমিজট। সম্প্রতি বিশ্বভারতী উচ্ছেদ নোটিস পাঠায় অমর্ত্য সেনকে।
৬ মে জমি খালি করার শেষ দিন হিসেবে ধার্য করা হয়েছে বলে জানানো হয় সেখানে। প্রয়োজনে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বল প্রয়োগ করবে এমনও হুশিয়ারিও দেয়। এর পালটা আদালতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এপ্রসঙ্গেই মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চন্দ্রনাথ সিনহাকে তিনি নির্দেশ দেন, বিশ্বভারতী যদি জোরপূর্বক উচ্ছেদের চেষ্টা করে সেক্ষেত্রে প্রতীচীর সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের।চন্দ্রনাথ সিনহাকে তিনি নির্দেশ দেন, ‘বিশ্বভারতী যদি বলপূর্বক উচ্ছেদের চেষ্টা করে তাহলে প্রতীচীর সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসতে হবে। দলের নেতা–কর্মীর পাশাপাশি বাউলদেরও এই কাজে যুক্ত করতে হবে।’ এই জমিজট শুরু হলে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই গিয়ে অমর্ত্য সেনের হাতে নথি তুলে দিয়ে আসেন। কিন্তু তারপরও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সেসব নথি মানতে নারাজ। নোবেলজয়ীর পাশেই বরাবর রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজে গিয়ে অমর্ত্য সেনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। বিশ্বভারতীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বাড়ি ভাঙার চেষ্টা হলে বুলডোজারের সামনে বসে তা আটকাবেন তিনি। মঙ্গলবার তিনি আবার বুঝিয়ে দিলেন, এই আন্দোলনে নোবেলজয়ীর পাশেই রয়েছেন তিনি।জমিজটের শুরু থেকেই নোবেলজয়ীর পাশে মুখ্যমন্ত্রী। নিজে গিয়ে অমর্ত্য সেনের সঙ্গে কথা বলেছেন। আক্রমন করেছেন বিশ্বভারতীকে। সব মিলিয়ে বিশ্বভারতীর সঙ্গে অমর্ত্য সেনের জমি জট চরমে উঠেছে।