দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- প্রকাশিত মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। শুক্রবার পরীক্ষার ৭৫ দিনের মাথায় ফলপ্রকাশ করল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ| এদিন ডিরোজিও ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে মাধ্যমিকের ফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় | ১১৮ জন প্রথম দশে রয়েছে | জেলাওয়াড়ি বিচারে পাশের হারে প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর, দ্বিতীয় স্থানে কালিম্পং। তৃতীয় স্থানে কলকাতা | পূর্ব মেদিনীপুরে এ বছর পাশের হার ৯৬.৮১ শতাংশ। এবারে মাধ্যমিকের প্রথম দেবদত্তা মাঝি, কাটোয়া দুর্গাদাসী চৌধুরানি গার্লস হাইস্কুল। দেবদত্তা ৬৯৭ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছে। দ্বিতীয় শুভম পাল, রিফত হাসান সরকার, প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। তৃতীয় সৌম্যদীপ মল্লিক, অর্ক মণ্ডল, সারওয়ার ইমতিয়াজ, মাহির হাসান, অর্ঘ্যদীপ সাহা ও সরাজ পাল।
তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০। চতুর্থ সমাদৃতা সেন, অনীশ বাড়ুই, তুহিন বেরা, অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুপ্রভ আদক। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯। এ বছরের মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ৪২ হাজার ৩২১ ছিল। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪২৮ জন। পাশের হার ৮৬.১৫ শতাংশ। যা গতবারের তুলনায় সামান্য কম। গতবছর অর্থাৎ ২০২২ সালে পাশের হার ছিল ৮৬. ৬০ শতাংশ।এবছর মেধাতালিকায় নজরকাড়া সাফল্য মালদহের। ১১৮ জনের মধ্যে ২১ জন পড়ুয়াই ওই জেলার। পূ্র্ব বর্ধমান থেকে মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছে ১৭ পড়ুয়া, বাঁকুড়ার ১৪ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৩ ও পূর্ব মেদিনীপুরের ১১ জন। এ বছর পাসের হার ৮৬.১৫ শতাংশ। যার মধ্যে প্রথম বিভাগে পাস করেছে ১৩.৬৭ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী। মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় মালদার ২১ জন, পূর্ব বর্ধমানে ১৭ জনের পাশাপাশি বাঁকুড়া থেকে ১৪ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে ১৩ জন রয়েছে প্রথম দশে। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ১১ জন রয়েছেন তালিকায়। ৯ জন রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে। পশ্চিম মেদিনীপুর থেকেও তালিকায় রয়েছে ৯ জন। পুরুলিয়া থেকে যে তালিকায় রয়েছে ৬ জন। ৫ জন হুগলি থেকে রয়েছেন তালিকায়। হাওড়া ও কোচবিহার থেকে যথাক্রমে ৪ জন ও ৩ জন স্থান করে নিয়েছে মেধা তালিকায়। বীরভূম থেকে ২ জন স্থান করেছে তালিকায়। পাশাপাশি নদিয়া, ঝাড়গ্রাম, জলপাইগুড়ি ও দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে ১ জন করে রয়েছে মেধা তালিকায়।মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হতেই টুইটে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়| লিখেছেন, “মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল ছাত্রছাত্রীদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সাফল্যের সঙ্গে পূর্ণ হোক তোমাদের আগামীর প্রত্যেকটি দিন।”