প্রসেনজিৎ ধর :-মন্ত্রীর এলাকাতেও হার তৃণমূলের। সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের জেলাতেই হারল তৃণমূল প্রার্থী। বারবার মালদহ জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠেছে। এমনকী শীর্ষনেতৃত্ব জেলায় গিয়েও বারবার সে বার্তাই দিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে কি সেই দ্বন্দ্বই কাঁটা হল, উঠছে প্রশ্ন। একদিকে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বুথে যেমন কংগ্রেস প্রার্থী জিতেছে, একইভাবে এলাকায় জয় এসেছে এক আইএসএফ প্রার্থীরও। কালিয়াচক ২৮ নম্বর বুথে কংগ্রেসের প্রার্থী জেতেন। এই বুথেরই ভোটার সাবিনা ইয়াসমিন। অন্যদিকে সাবিনার বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী আইএসএফ প্রার্থী। বিপুল উচ্ছাসে আইএসএফ।মালদা জেলায় এখনও পর্যন্ত যা ট্রেন্ড, তাতে কংগ্রেস ও বিজেপি-কে অনেকটাই পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তার মধ্যেই জেলায় একটি বুথে জোর ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল। আর সেই বুথ কোনও সাধারণ বুথ নয়, রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বুথ বলে পরিচিত। সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বুথে ৭৩ ভোটে কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে হেরেছেন তৃণমূল প্রার্থী৷ মালদার কালিয়াচক – ১ ব্লকের বাবুরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয় বুথে জয় পেয়েছেন কংগ্রেসের মহম্মদ মেহতাব শেখ। কালিয়াচক – ১ ব্লকের কালিয়াচক – ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৮ নম্বর বুথে তৃণমূলের প্রার্থীর থেকে ৭৩ ভোট বেশি পেয়েছেন ওই কংগ্রেস প্রার্থী।এই বুথের ভোটার রাজ্যের সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাবিনা ইয়াসমিন এখানেই ভোট দিয়েছিলেন। আর সেখানেই পরাজিত হল তৃণমূল। আসন পাওয়ার নিরিখে এখনও পর্যন্ত জেলায় কংগ্রেস তৃতীয় স্থানে থাকলেও এই বুথের জয় অনেকটাই অক্সিজেন যোগাচ্ছে তাঁদের।এই বিষয়ে কালিয়াচকের এক কংগ্রেস নেতা বলেছেন, ‘এখানে মানুষ সুষ্ঠুভাবে ভোট দিয়েছেন, তাই তৃণমূল হেরেছে। শুধু এখানেই না, যেখানেই কংগ্রেস জিতেছে, মানুষের ভোটে জিতেছে। এই বুথটি রাজ্যের মন্ত্রীর। কিন্তু এখানে মন্ত্রী হওয়ার দুই বছর পরেও উনি কোনও কাজ করেননি।’