দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনাকে কেন্দ্র করে দায়ের হওয়া মামলায় চাঞ্চল্যকর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। জয়ী সমস্ত প্রার্থীর ভাগ্য নির্ভর করবে মামলার ভবিষ্যতের উপর। অর্থাৎ গণনাপর্ব মেটার পরও গোটা ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটল না। এ বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে আদালত। কমিশন যাঁদের জয়ী ঘোষণা করেছেন, তাঁদের জয় মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের রায়ের পরেই চূড়ান্ত হবে। ভোট থেকে গণনা, সব ক্ষেত্রেই অশান্তির অভিযোগ উঠেছে। এবার ভোট-হিংসার মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কড়া বার্তা দিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। কেন এখনও হিংসা চলছে? কেন মানুষ মার খাচ্ছে? প্রশ্ন তুললেন প্রধান বিচারপতি। ভোটে যাঁরা জয়ী হয়েছেন, তাঁদের ভবিষ্যৎ, মামলার ভবিষ্যতের ওপর নির্ভর করলে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।বুধবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ জানায়, পঞ্চায়েত ভোটে কমিশনের ভূমিকা ‘খুব সন্তোষজনক নয়’। এদিন আদালত আরও জানায়, কমিশন যাঁদের জয়ী ঘোষণা করেছেন, তাঁদের জয় মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের রায়ের পরেই চূড়ান্ত হবে। আগামী ২০ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ, ব্যালট সহ যাবতীয় নথি সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফে।
প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘কমিশনের ভূমিকা খুব সন্তোষজনক নয়।’ সার্বিকভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় উষ্মাপ্রকাশ করে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, “আজও কোনও অফিসার হাজির নেই তাদের বক্তব্য জানানোর জন্য। ৬৯৮টি বুথে কীসের ভিত্তিতে পুনর্নির্বাচন হল, তার ব্যাখ্যা দিতেও প্রস্তুত নয় কমিশন। কোর্ট বুঝতে পারছে না, এত সতর্কতার পরেও কিছু গোলমাল ঠেকানো গেল না।”প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ,”পুলিশ নাগরিকের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হলো কিছু ক্ষেত্রে। রাজ্য যদি তার নাগরিককে নিরাপত্তা না দিতে পারে তাহলে সেটা খুব গুরুতর ব্যাপার। কমিশন হলফনামা দিয়ে জানাক তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে। তারপরে কোর্ট বিবেচনা করবে।” আদালত বলছে, “এর আগে বহু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে দুটি অর্ডার সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। বাকিগুলোর হয়নি। তাই আদালত ধরে নিচ্ছে সেই অর্ডার মান্যতা দেবে কমিশন।”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal