দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বড়িশা হাইস্কুলের প্রাথমিক বিভাগের খুদে পড়ুয়া সৌরনীল সরকারের প্রাণহানির পর হুঁশ ফিরল প্রশাসনের। বেহালা চৌরাস্তা এবং ডায়মন্ড হারবার রোডে যাননিয়ন্ত্রণে কড়া নজর পুলিশের। এদিকে, দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্তি-ভাঙচুরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।প্রাণের বিনিময়ে হুঁশ ফিরল পুলিশের। সৌরনীলের মৃত্যু রাতারাতি পালটে দিল বেহালা চৌরাস্তার ট্রাফিক নিরাপত্তা।শনিবার সকাল থেকে বেহালা চৌরাস্তায় মোট পাঁচটি মুভেবল ড্রপগেট বসানো হয়েছে। পথচারীদের চলাচলের জন্য রাস্তার একপাশে দড়ি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেডের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। পথচারীরা জেব্রা ক্রসিং দিয়ে পারাপার করছেন কিনা, সেদিকে কড়া নজর ট্রাফিকের। নির্দিষ্ট জায়গা থেকেই উঠতে হচ্ছে বাস, অটোয়। লালবাজারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এবার সকাল ৬টার পর থেকে কলকাতায় কোনও ট্রাক বা ভারী গাড়ি চলাচল করবে না। প্রত্যেকটি স্কুলের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা থাকবে। কোনও দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ট্রাফিক গার্ডের পুলিশই আহত বা দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তির দেহ সরিয়ে ফেলবে। চৌরাস্তায় রাস্তা পারাপারের সুবিধার জন্য ‘বুম ব্যারিয়ারের’ ব্যবস্থাও করা হয়।কলকাতার বুকে যানশাসনের ক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুলিশ | লালবাজারের নির্দেশ, সকাল ৬টার পর কলকাতায় ঢুকবে না কোনও ট্রাক। আজ থেকেই চালু হয়েছে এই নিয়ম। মৌখিকভাবে সমস্ত Traffic Guard-কে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে শহরের সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের বাইরে পুলিশ নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করতে বলা হয়েছে। নির্দেশ গিয়েছে স্কুলের বাইরে থাকতে হবে স্থানীয় থানার OC বা Additional OC পদমর্যাদার একজন অফিসারকে। সমস্ত স্কুলের বাইরে যান নিয়ন্ত্রণ ও ভিড় সামলাতে থাকবে পুলিশ। যদিও পথচারীদের একাংশ বা স্কুল পড়ুয়াদের অভিভাবকরা অবশ্য কতদিন এই ব্যবস্থা বজায় থাকবে, তা নিয়ে সন্দিহান।