প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- শুক্রবার সকালে শহরের ঘুম ভেঙেছিল মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার খবরে। বেহালার বড়িশায় লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল ছোট্ট স্কুল পড়ুয়ার। এই মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বেহালা। কিন্তু তারপরও কি সচেতন হল চালকরা? উঠছে প্রশ্ন। কারণ তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই শহরের বুকে আবার একটি মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা ঘটল। ঘটনাস্থল দ্বিতীয় হুগলি সেতু। স্কুটিতে করে বাড়ি ফিরছিলেন এক যুবতী। কিন্তু লরির ধাক্কায় আর বাড়ি ফেরা হল না। মৃত্যু হল তাঁর।মৃতের নাম সুনন্দা দাস (২৮)। কলকাতার ধর্মতলা এলাকার এক হোটেলের কর্মী ছিলেন সুনন্দা। হাওড়ার নেতাজি সুভাষ রোডের বাসিন্দা তিনি। শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ স্কুটি চালিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সুনন্দা। ফ্লাইওভারে ওঠার মুখে পিছন থেকে একটি লরি এসে স্কুটিতে ধাক্কা মারে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা।লরির ধাক্কায় সুনন্দার শরীরের একাংশ গাড়ির তলায় পিষে যায় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকেরা সুনন্দাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ লরিটিকে আটক করলেও ঘটনাস্থল থেকে পলাতক লরির চালক। পুলিশ সূত্রে খবর, হোটেল থেকে স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সুনন্দা তাঁর এক সহকর্মীকে আলিপুরে নামিয়েছিলেন। তার পর খিদিরপুর হয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে যাচ্ছিলেন তিনি।মৃতার পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, সুনন্দার ফোন থেকে তাঁর বাড়িতে যোগাযোগ করে দুর্ঘটনার কথা জানানো হয়। খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন এবং প্রতিবেশীরা এসএসকেএম হাসপাতালে ছুটে যান। মৃতার কাকা সনৎ দাসের অভিযোগ, পুলিশের নজরদারির অভাবে শহরে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হোক বলে দাবি করেছে মৃতার পরিবার।পুলিশ সূত্রে খবর, রাত তখন ১১টা বেজে গিয়েছিল। আর ওই সময়ে খিদিরপুরের দিক থেকে স্কুটিতে করে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দিকে যাচ্ছিলেন ওই যুবতী। তখন পিছন দিক থেকে একটি বেপরোয়া লরি যুবতীর স্কুটিতে ধাক্কা মারে। তার জেরে ওই যুবতীর শরীরের একটা অংশ পিষে যায়। তড়িঘড়ি ছুটে আসেন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। আর আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় যুবতী সুনন্দাকে। সেখানেই ওই হোটেল কর্মী যুবতীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। হেস্টিংস থানা ঘাতক লরিটিকে আটক করেছে। তবে চালক পলাতক। একই দিনে পরপর এমন পথ দুর্ঘটনায় পথ নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।