দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-
রাজ্যের ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজ্যপাল তথা আচার্যের উপাচার্য নিয়োগ, আর তা ঘিরে চরমে সংঘাত। উপাচার্য নিয়োগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সাংবাদিক বৈঠক করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যপালকে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। উঠে এল ধনখড় জমানার প্রসঙ্গও। শিক্ষামন্ত্রী বললেন, “জগদীপ ধনখড় যে সময়ে রাজ্যপাল ছিলেন, তখন অন্ততপক্ষে আলোচনার পরিসর ছিল। কিন্তু এখনকার রাজ্যপাল তো জেমস বন্ডের মতো আচরণ করছেন। বর্তমান রাজ্যপাল জেমন বন্ডের মতোই নিঃশব্দ প্রহেলিকার মতো কাজ করে চলেছেন।” ব্রাত্য বসু বলেন, ” উচ্চ শিক্ষা দফতর, মুখ্যমন্ত্রীকে অগ্রাহ্য করে, তাঁদের তোয়াক্কা না করে, রাজ্যপাল এক তরফাভাবে উপাচার্য নিয়োগ করছেন। কখনও সেই উপাচার্যকে তিনি বিতাড়িত করছেন, কখনও আবার তিনি নতুন উপাচার্য নিয়ে আসছেন। কখনও তাঁকেও আবার তাঁর পছন্দ হচ্ছে না।”এবার নাম না করে সিভি আনন্দ বোসকে গোপাল ভাঁড় বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। ব্রাত্য বসুর কথায়, “কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভার শ্রেষ্ঠ বিদূষককে রাজ্যপাল করে পাঠানো হয়েছে। তাঁর আত্মা আবার জাগ্রত করা হয়েছে।” উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনায় যাচ্ছে না রাজভবন। যা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, প্রাক্তন রাজ্যপাল অন্তত আলোচনা করতেন।এদিন সিভি আনন্দ বোসকে আক্রমণ করতে গিয়ে বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি তথা প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কথাও তুলে আনেন। তুলনা টানেন সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গেও। ব্রাত্যর কথায়, “আগের রাজ্যপাল ফাইল পাঠাতেন। আমরা পালটা নোট দিতাম। আইন নিয়ে তর্ক হত।” তবে কি আনন্দ বোসের তুলনায় ধনখড় ভাল ছিলেন? সে প্রশ্নের সরাসরি জবাব অবশ্য দেননি ব্রাত্য।