দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- হরিদেবপুরে নিজের বাড়িতেই খুন হলেন তরুণী। খুন করে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার জন্য বিষ খেলেন তরুণীর স্বামীও। দু’জনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তরুণীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তদন্ত শুরু করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ।পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাত সওয়া ১০টা নাগাদ ঘটেছে এই ঘটনা। মৃত তরুণীর নাম কৃষ্ণা দে (২১)। অভিযুক্তের নাম শুভেন্দু দাস। বয়স ৩২ বছর।রবিবার রাতে হরিদেবপুরের সোদপুর রামকৃষ্ণপল্লিতে নিজের বাড়িতেই খুন হন কৃষ্ণা। তাঁকে বেশ কয়েকবার কোপানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কোপ বসানো হয় গলাতেও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই তাঁকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তরুণীকে কুপিয়ে বিষ খেয়ে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন শুভেন্দু। তাঁকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ওই তরুণীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় শুভেন্দুকে।পুলিশ জানিয়েছে, সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণে এই খুন হয়ে থাকতে পারে। অভিযুক্ত শুভেন্দু পেশায় এক জন অটোচালক। টালিগঞ্জ থেকে বেহালা চৌরাস্তা রুটে অটো চালাতেন। এক বছর আগে কৃষ্ণাকে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেন এলাকারই বাসিন্দা শুভেন্দু। কিন্তু মেয়েটির পরিবার এই বিয়ে মেনে নেয়নি। বিচ্ছেদের মামলাও দায়ের করা হয়েছিল। রবিবারের এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করা হয়েছে।কৃষ্ণার মায়ের দাবি, রাতে বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন, ঘরের দরজা তালা মারা। তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখেন কৃষ্ণা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। বাইরে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে শুভেন্দু। তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে আসে হরিদেবপুর থানার পুলিশ । তবে কি কারণে এই খুন? সম্পর্কের টানাপোড়েন নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য, খতিয়ে দেখছে হরিদেবপুর থানা।