প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- রাজ্য সরকারের মতই রাজভবনও ঘোষণা করেছিল সেরা পুজোকে পুরস্কৃত করা হবে। সেই মোতবেক কলকাতা ও জেলা সহ চারটি পুজো কমিটিকে ‘দুর্গারত্ন’ পুরস্কার দেওয়া হবে বলে বুধবার ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।রাজভবন জানিয়েছিল, নির্বাচিত ওই চারটি পুজো হল, টালা প্রত্যয়, নেতাজি কলোনি লো-ল্যান্ড, বরানগর বন্ধুদল স্পোর্টিংয়ের পুজো এবং কল্যাণী লুমিনাস ক্লাবের পুজো। চারটি পুজো কমিটিকে মোট ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজভবন।কিন্তু বিকেলেই কল্যাণী লুমিনাস ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিল, তাঁরা রাজভবনের দুর্গারত্ন পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করছে। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্যের একশ দিনের কাজের টাকা বকেয়া রয়েছে। গরিব মজুররা কাজ করেও টাকা পাননি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল যদি তাঁদের মজুরি পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন, সেটাই পুরস্কার হিসাবে ধরে নেব। পুজো উদ্যোক্তা অরূপ মুখোপাধ্যায় জানান, এর সঙ্গে রাজনীতিকে জুড়ে দিলে চলবে না। পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্কই নেই। তিনি বলেন, “রাজ্যপাল ১০০ দিনের কাজের টাকা পেতে দিল্লিকে জানাক। গরিব মানুষ প্রাপ্য টাকা পেলেই ভাবব আমরা পুরস্কার পেয়ে গিয়েছি।”পুজোর একেবারে শুরু থেকে রাজ্যের একাধিক পুজো মণ্ডপে ঘোরেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনের তরফে ঘোষণা করা হয়, একাধিক সেরা পুজোকে পুরস্কৃত করবেন বোস। দশমীর দিনই চারটি সেরা পুজোর ঘোষণাও করা হয় রাজভবনের তরফে। বাঙালিয়ানার নিক্তিতে মেপে সাধারণ মানুষের ভোটের ভিত্তিতে সেরা চার বেছে নেন রাজ্যপাল। পুরস্কার মূল্য হিসাবে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে এই চার পুজোকে। সেই তালিকাতেই কলকাতার ‘টালা প্রত্যয় যেমন রয়েছে, নাম আছে নদিয়ার অন্যতম পুজো লুমিনাস ক্লাবের। কল্যাণী আইটিআই মোড়ের পুজো হিসাবেও জনপ্রিয় তা। এছাড়াও দুর্গারত্ন পাচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনার বরাহনগরের ‘বন্ধুদল স্পোর্টিং ক্লাব’ ও বরাহনগরের ‘নেতাজি কলোনি লো ল্যান্ড’। তবে এই পুরস্কার নিতে অস্বীকার করেছে কল্যাণীর অত্যন্ত জনপ্রিয় আইটিআই মোড়ের এই পুজো।লুমিনাস ক্লাবের এবারের পুজোর থিম ছিল ম্যাকাওয়ের গ্র্যান্ড হোটেল ক্যাসিনো লিসবোয়া। সারা রাজ্যজুড়ে এ প্যান্ডেল এবার সারা ফেলে দিয়েছে। এমন জাঁকজমকপূর্ণ পুজো দেখতে কলকাতা থেকে পর্যন্ত মানুষ গিয়ে ভিড় করেছেন। বিশেষ করে রাতেরবেলায় লেজার আলোর খেলা মোহময়ী করে তুলেছিল এই পুজো।