প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- বর্ষশেষে ফের তৎপর ইডি। বৃহস্পতিবার সাতসকাল থেকে মোট ৯টি জায়গায় চলছে জোর তল্লাশি। বেলেঘাটা রোডে রাঘব পাণ্ডে, আলিপুর পার্কে সুশীল মেহেতা, নেতাজি সুভাষ রোডে রাজেশ রুশির অফিস এবং আশুতোষ মুখার্জী রোডের বাড়িতে হানা ইডির। এছাড়া মানিকতলা হাউসিংয়ে অশোক যাদুখা, মানিকতলা মেন রোডে সুভাষ চাঁচোর, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ এবং ছাতাওলা গলিতে পোদ্দার কোর্টে চলছে তল্লাশি।ইডির তরফে এই তল্লাশির কারণ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু জানা না গেলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকে শিক্ষক দুর্নীতি মামলার তদন্তের সূত্রেই এই অভিযান।
বড়বাজারে যে জায়গায় ইডি আধিকারিকেরা হানা দিয়েছেন, সেটি এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টের অফিস বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, হিসাবে গরমিল সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্তের সূত্রেই সেখানে হানা দেওয়া হয়েছে।তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে আরও খবর, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা অন্য কোথাও বিনিয়োগ করা হয়েছিল কি না, করলেও তা কোথায় কোথায়, কালো টাকা সাদা করা হয়েছিল কি না— এই সব কিছু খতিয়ে দেখতেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই অভিযান শুরু হয়েছে।সূত্রের খবর, এ দিন নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তেই মূলত ক্যানিং স্ট্রিটের এই সংস্থার অফিসে হানা দিয়েছেন গোয়েন্দারা। তবে এত সকালে আসায় বাইরে থেকে বন্ধ ছিল সংস্থার গেট। তাই চাবি আসার অপেক্ষায় রয়েছেন গোয়েন্দারা। মূলত, এই অফিসে থাকা নথিপত্রগুলিই ঘেঁটে দেখবেন তাঁরা। ওই কোম্পানির নিরাপত্তরক্ষী বলেন, “ইডির লোকজন এসেছে। চাবি চাইছিল আমার থেকে। আমি এই সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করি। এর আগে কখনও হয়নি। তিনজন কাজ করেন অফিসে”
তবে শুধু ক্যানিং স্ট্রিটেই নয়, একই সঙ্গে কাঁকুড়গাছি, মানিকতলা রোডে অবস্থিত মনিকলা অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছেছেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। সুবোধ সাচার এবং অশোক সাধুকা নামে দুই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী জানতে পারা গিয়েছে, অশোক সাধুকা বাড়িতেই রয়েছেন। তবে নিয়োগ দুর্নীতিতে কীভাবে জড়িয়ে পড়লেন তা জানার চেষ্টা করছে ইডি।