Breaking News

রাতে বিয়েবাড়ি গিয়েছিলেন, সকালে নর্দমায় পড়ে দেহ!কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীর অবস্থা দেখে হতভম্ব প্রতিবেশীরা

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- রাতে পাড়ারই বিয়েবাড়িতে নিমন্ত্রিত ছিলেন। সকালে হঠাৎই বাড়ির অদূরে নর্দমার মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল হরিদেবপুরে বড়দা স্মরণীতে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ফাল্গুনী দত্ত (৫৬)। সকালে হরিদেবপুর থানার পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।মৃত ফাল্গুনী দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী। সকাল হতে না হতেই প্রতিবেশীরা ফাল্গুনীকে বাবুকে রাস্তার নর্দমার উপরে পড়ে থাকতে দেখেন। এরপরই খবর দেওয়া হয় পুলিসকে।
পরে হরিদেবপুর থানার পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফাল্গুনী দত্ত সোমবার বাড়ির অদূরে বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা আগে চলে আসেন। ফাল্গুনী পরে আসবেন বলে থেকে যান। সকালে বাড়ি না ফেরার খোঁজ শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। তখন দেখেন বাড়ির অদূরে নর্দমার মধ্যে পড়ে রয়েছে ফাল্গুনীর দেহ।প্রতিবেশীরাই প্রথমে বিষয়টি দেখতে পান। তাঁরা দ্রুত খবর দেন বাড়ির লোককে। পরিবারের সদস্যরা গিয়ে দেহ শনাক্ত করেন। হরিদেবপুর থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “এই তো কালই দেখলাম, সুস্থ সবল লোক। বিয়ে বাড়ি গেলেন। হাসিমুখ সবসময়। কী হল বুঝতে পারছি না। দেহে এমনিতে তো কোনও আঘাতের চিহ্ন দেখলাম না। শরীর খারাপ ছিল কিনা, বুঝতে পারছি না।”

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *