দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ এনে উচ্ছেদের নোটিস ধরিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। মামলা গড়িয়েছিল আদালতে।ওই মামলাতেই বুধবার সিউড়ি আদালত জানিয়ে দিল, অমর্ত্য সেনকে জমি ছাড়তে হবে না। বিশ্বভারতীকে অবিলম্বে নোটিস বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।অমর্ত্য সেনের আইনজীবী জানিয়েছেন, সিউড়ি জেলা আদালত বিশ্বভারতীর দেওয়া নোটিশ বাতিল করে দিয়েছে। বিচারক জানিয়েছেন ওই নোটিসের কোনও ভিত্তি নেই|বিতর্ক তৈরি হয়েছিল ১৩ ডেসিমেল জায়গা নিয়ে। বিশ্বভারতীর অভিযোগ ছিল যে জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে রখেছেন অমর্ত্য সেন। পাল্টা নোবেলজয়ীর দাবি ছিল পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ওই জমিতে বৈধ ভাবেই বাস করছেন তিনি। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী উপাচার্য থাকাকালীন ওই নোটিস দেওয়া হয়। নোটিসে বলা হয় অবিলম্বে ১৩ ডেসিমেল জমি খালি করে দিতে, না হলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জোর করে উচ্ছেদের পথে হাঁটবে। এর বিরুদ্ধে সিউড়ি জেলা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আদালত নোটিস বাতিল করে দিয়েছে।
অমর্ত্য সেনের আইনজীবী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আমরা জিতে গিয়েছি। অমর্ত্য সেনকে আর জায়গা ছাড়তে হবে না। বিচারকও এদিন উল্লেখ করেছেন, ওই নোটিসের কোনও ভিত্তি ছিল না।’প্রসঙ্গত, এর আগে জমি ছাড়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতবছর ৬ মের মধ্যে তাঁকে ১৩ ডেসিমেল জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য নোটিস দেয় বিশ্ববিদ্যালয়। এর বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। জমি নিয়ে সিউড়ি জেলা আদালতে মামলা চলতে থাকে। শান্তিনিকেতনে ১.৩৮ একর জায়গার উপর রয়েছে অমর্ত্য সেনের পৈতৃক বাড়ি। সেখানেই দীর্ঘ ৮০ বছর ধরে বসবাস করছে তাঁর পরিবার। বাড়িটি তৈরি করেছিলেন তাঁর বাবা আশুতোষ সেন। কিন্তু বিশ্বভারতীর অভিযোগ ছিল ১৩ ডেসিমেল জমি বেআইনি ভাবে দখল করে রেখেছেন অমর্ত্য সেন। এই জমি নিয়ে বিস্তর টানাপোড়েন চলে গত এক বছর ধরে। খোদ মুখ্যমন্ত্রীও জমি বিতর্কে হস্তক্ষেপ করেন। অবশেষে সিউড়ি জেলা আদালত জানিয়ে দিল অমর্ত্য সেনকে কোনও জায়গা ছাড়তে হবে না।