দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- যাদবপুরে দৃষ্টিহীন ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃ্ত্যুকে কেন্দ্র নতুন করে র্যাগিং অভিযোগ উঠল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরাজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয় জলপাইগুড়ির মালবাজারে নিজের বাড়িতে। মৃত ছাত্রী পরিবারের অভিযোগ নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হতো ওই ছাত্রীর উপর। এমনকী তাঁকে জোর করে নেশা করানো হতো বলেও তাঁর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীমৃত্যুর ঘটনায় অবশেষে নড়েচড়ে বসল কর্তৃপক্ষ। ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠনের দিকে এগোল বিশ্ববিদ্যালয়। আইসিসি অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ অভিযোগের তদন্ত কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য। যে কমিটিতে একজন বিশেষভাবে সক্ষম অধ্যাপক-সহ মোট ৫ জন সদস্য থাকতে পারেন বলেও সূত্রের খবর। শুধু তাই-ই নয়, আপাতত অভিযুক্ত এক ছাত্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে থাকার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ।বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসে কর্তৃপক্ষ।
ওই বৈঠকেই মৃত ছাত্রীর বাবার অভিযোগপত্র নিয়ে আলোচনা হয়। এরপরই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় আইসিসি-কে।‘-এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানান, ”ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় আমরা মর্মাহত। তাঁর বাবা অভিযোগপত্র দিয়েছেন। ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিসি-কে।”সূত্রের খবর, ফের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুতে র্যাগিং অভিযোগ ওঠায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দেন বৈঠকে উপস্থিত কেউ কেউ। অন্যদিকে একাধিক ছাত্র সংগঠনের পক্ষেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করা হয়।যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, মৃত ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনেকদিন থাকতেন না। তাঁর মৃত্যুও ঘটেছে নিজের বাড়িতেই। তাই এই বিষয়ে এক্তিয়ারের মধ্যে দিয়ে যেটুকু করা সম্ভব, তাই-ই করবেন তাঁরা। কিন্তু এখানেও উঠেছে প্রশ্ন। পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, এক্ষেত্রেও অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা থাকতে পারে। এক অভিযুক্তকে বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ।