প্রসেনজিৎ ধর :- নতুন জীবন শুরু করেছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী |৩ রা মার্চ সামাজিকভাবে বিয়ের পর বুধবার ৬ মার্চ শহরের একটি বিলাসবহুল ব্যাঙ্কোয়েটে বসেছিল কাঞ্চন-শ্রীময়ীর তারকা খচিত রিসেপশন | যেখানে উপস্থিত ছিলেন টলিউডের একগুচ্ছ তারকা | কিন্তু তাঁদের রিসেপশনের প্ল্যাকার্ড নিয়েই সকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে ধুন্ধুমার | যেখানে লেখা ছিল,“প্লিজ়! সংবাদমাধ্যম, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী এবং গাড়ির চালকরা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না।” সংবাদমাধ্যমের প্রবেশের অনুমতি নেই এই কথাটি অনেক আগেই জানিয়েছিলেন শ্রীময়ী | বলেছিলেন কাঞ্চন বেশি লাইমলাইট পছন্দ করেন না। তাই এই সিদ্ধান্ত কিন্তু তা বলে তাঁদের বাড়ির গাড়ির চালক, নিরাপত্তারক্ষীদেরও প্রবেশ নিষেধ, এই বিষয়টি কেউ মেনে নিতে পারছে না | বিশেষ করে কাঞ্চনের এমন মনোভাব দেখে ক্ষুব্ধ সাংবাদিকদের থেকে শুরু করে গোটা সোশ্যাল মিডিয়া | সমাজমাধ্যমে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর উদ্দেশে প্রতিবাদস্বরূপ খোলা চিঠি লেখা হয়েছে | কাঞ্চন-শ্রীময়ীর এই পদক্ষেপ অনেকেরই ‘অপমানজনক’ বলে মনে হয়েছে | যাঁদের এই ‘কর্মকাণ্ড’কে কেন্দ্র করে এত কিছু, কী বলছেন তাঁরা? এ প্রসঙ্গে প্রথমবার সমাজ মাধ্যমে মুখ খুললেন নববধূ শ্রীময়ী| তাঁর কথায়, ‘‘আমরা একেবারেই এটা করিনি | আমাদের কাছে সাংবাদিকেরাও মানুষ, গাড়ির চালকেরাও মানুষ, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীরাও মানুষ | কাউকে ছোট করা হয়নি | দ্বিতীয়ত, আমরা চেয়েছিলাম খানিকটা গোপনীয়তা বজায় রাখতে | কিন্তু ভুয়ো পরিচয় দিয়ে প্রবেশ করার একটা আশঙ্কা থেকেই যায় | সেই কারণেই হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম, আমরা সাংবাদিক, নিরাপত্তারক্ষী এবং গাড়ির চালকদের প্রবেশাধিকার বন্ধ রাখতে চাই | এমনিতেই সমাজমাধ্যমে আমাদের বিয়ে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যে ভেসে যাচ্ছে | সেখানে যদি অনুষ্ঠানে প্রবেশ অবাধ হয়, তা হলে তো মুশকিল হবেই |’’ তাহলে কি গোটা ঘটনার দায় হোটেল কর্তৃপক্ষের? শ্রীময়ীর জবাব, ‘‘আমরা আমাদের মতামত জানিয়েছিলাম | হোটেল কর্তৃপক্ষ কীভাবে সেটা পরিচালনা করছেন সে বিষয়ে কোনও তথ্য আমাদের কাছে ছিল না | তাছাড়া এখানে তো কাউকে অপমান করা হয়নি | সকলেই তো মানুষ | আমাদের বিয়ের কার্ডেও এমন কোনও ইঙ্গিত নেই|”