প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-SSC নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায় ঘোষণা হয়েছে সোমবার। এই রায় মোতাবেক, চাকরি গিয়েছে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। উল্লেখযোগ্যভাবে, এদিন বেতন ফেরত দেওয়া প্রসঙ্গও উল্লেখ ছিল রায়ে | স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি এই ২৬ হাজার জনকেই ফেরত দিতে হবে বেতন?এই বিষয়টি রায়ে স্পষ্ট করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সকলকে নয়, প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, বেতন ফেরত দিতে হবে তাঁদের। পাশাপাশি যাঁরা ‘ব্ল্যাঙ্ক ওএমআর শিট’ বা শূন্য ওএমআর শিট জমা দিয়েছেন এবং নিয়োগপত্র পেয়েছেন তাঁদেরও বেতন ফিরিয়ে দিতে হবে।পাশাপাশি এই দুটি ক্ষেত্রে চাকরি প্রাপকদের বছরে ১২ শতাংশ হারে সুদ দেওয়ার কথাও বলেছে আদালত। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি-তে বেআইনি নিয়োগের ক্ষেত্রে এই টাকা ফেরাতে হবে।নবম দশমে চাকরির ক্ষেত্রে একজন ৪০ হাজারের কম বেশি মাইনে পান। এটা তাঁর স্টার্টিং স্যালারি। ২০১৯ থেকে বেতন পেলে ২০২৪-এর মার্চ অবধি সেটা প্রায় ২৪ লক্ষের কাছাকাছি। এরপর বেতন বাড়তেও পারে।একাদশ-দ্বাদশের ক্ষেত্রে স্টার্টিং স্যালারি মোটামুটি ৪৪ হাজারের আশেপাশে। এই হিসাবে এগোলে ২০২৪ অবধি প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা বেতন হবে ওই শিক্ষকের। এরপর টাকা বাড়লে বাড়বে মোটের পরিমাণও।গ্রুপ সির ক্ষেত্রে চাকরির একেবারে শুরুতে একজন ২৬-২৭ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করেন। তাঁদের বেতন বৃদ্ধি হয়। স্টার্টিং স্যালারি ধরে এগোলে মোটামুটি ২০২৪ অবধি ১৬ লক্ষর টাকার আশেপাশে হবে। গ্রুপ ডির ক্ষেত্রে শুরু ১৯ হাজার টাকা ধরলে, ২০২৪ অবধি তা ১১ লক্ষের মতো হয়। এরপর টাকা বাড়লে বাড়বে মোটের পরিমাণও। অর্থাৎ কয়েক লক্ষ টাকা ফেরাতে হবে এই চাকরিহারাদের।এদিন সুজন চক্রবর্তী রাজ্যকে তোপ দাগেন। ‘লোভ এবং লুঠের করুণ পরিণতি’ বলে জানান তিনি। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সরব হয়েছেন লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপিও প্রার্থী দিলীপ ঘোষ।