প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক–অশিক্ষক কর্মীদের চাকরি চলে গিয়েছে। এই আবহে কথা রাখল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। চাকরিহারাদের এপ্রিল মাসের শেষেই বেতন দিল রাজ্য সরকার। এই বেতন দেওয়ার কথা দিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই বেতন যাতে বন্ধ না হয় এবং চাকরিহারারা চাকরি ফিরে পান তার জন্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে রাজ্য সরকার। সেখান থেকে স্থগিতাদেশ মিললে চাকরি থাকবে। আর অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে বহাল থাকবে চাকরি। তবে দুশ্চিন্তা কাটছে না |মঙ্গলবার এপ্রিল মাসের শেষ দিনে চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে গিয়েছে এপ্রিল মাসের বেতন। তবে কিছুটা স্বস্তি হলেও এখনও অস্বস্তিতেই সদ্য চাকরি হারানোরা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের ফলে চাকরি বাতিল হয়েছে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। তারপরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য। শিক্ষাদফতরের পাশাপাশি স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। মামলাটি আপাতত আদালতের বিচারাধীন।রাজ্যের অর্থ দফতর সূত্রে খবর, আগেই ঠিক হয়েছিল, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে চাকরিহারা শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের এপ্রিল মাসের বেতন দেবে রাজ্য সরকার।মুখ্যমন্ত্রী নিজে জানিয়েছেন, তিনি এর শেষ দেখে ছাড়বেন। তাই যতদিন না এই মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয় ততদিন এই চাকরিহারাদের বেতন দিয়ে যাবে রাজ্য সরকার। সেই কথারই বাস্তবায়ন দেখা গেল এপ্রিল মাসের শেষদিনে। গতকালই চাকরিহারা মানুষের কাছে তাঁদের এপ্রিল মাসের কাজের জন্য বেতন পাঠিয়ে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। অন্যদিকে এপ্রিল মাসের বেতন দিয়ে সংসার চলবে। আর মে মাসের মধ্যে একটা সঠিক রায় মিলবে সুপ্রিম কোর্ট থেকে। এমনটাই আশা করছে রাজ্য সরকার এবং এসএসসি।