প্রসেনজিৎ ধর :-পুরীতে ভয়াবহ বাজি বিস্ফোরণ। জগন্নাথদেবের চন্দনযাত্রায় বাজি ফেটে ঝলসে গেলেন অন্তত ৩০ পুণ্যার্থী, ইতিমধ্যেই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই সংকটজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।চন্দনযাত্রা উদযাপনের অংশ হিসেবে নরেন্দ্র পুকুরে ‘চাপা খেলা’ অনুষ্ঠান চলাকালীন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেই সময় অনেক ভক্তই আনন্দ করে আতশবাজি ফাটাচ্ছিলেন। সেই আনন্দই কিছুক্ষণ পর পরিণত হল বিষাদে। বাজির আগুনের ফুলকি গিয়ে পড়ে আতশবাজির স্তূপে। জ্বলন্ত আতশবাজি থেকে ফুলকি ছিটকে বেশ কয়েকজনের গায়ে গিয়ে পড়ে। অগ্নিদগ্ধ হন তাঁরা। আতঙ্ক ছড়ায় ভক্তদের মধ্যে। হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ঘটনাস্থলে। প্রাণ বাঁচাতে কেউ কেউ আবার পুকুরে ঝাঁপ দেন।আহতদের মধ্যে একাধিক জনকেই SCB মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। কয়েকজন রোগীকে বিশেষ চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের জন্য স্থানান্তরিত করা হয়েছে ভুবনেশ্বর হাসপাতালে। পুরীর পুলিশ সুপার পিনাক মিশ্র বলেন, ‘জখমদের হাসপাতালে ভর্তি করাই এই মুহূর্তে আমাদের অগ্রাধিকার। চিকিৎসার জন্য SCB-এর বার্ন ইউনিটের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।’ এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিন জন পূণ্যার্থীর মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন ৩০ জনেরও বেশি।ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘পুরী নরেন্দ্র পুকুরের কাছে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দুঃখিত। মুখ্যসচিব ও জেলা প্রশাসনের আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ও তাঁদের চিকিৎসা পর্যবেক্ষণে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব আহতদের চিকিৎসার খরচ মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে বহন করা হবে। দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি সকলের।’ অন্যদিকে, এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও ।