দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- কলকাতার মানিকতলা বিধানসভার উপ নির্বাচন হবে ১০ জুলাই। প্রয়াত নেতা সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডেকেই মানিকতলা বিধানসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী বাছলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নবান্নের বৈঠকে কুণাল ঘোষ, কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দারদের সঙ্গে সুপ্তিকেও ডেকেছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, সেখানেই তৃণমূলনেত্রী ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন, আগামী ১০ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য মানিকতলা উপনির্বাচনে সাধন-জায়া সুপ্তিকেই প্রার্থী করা হচ্ছে। তবে তৃণমূলের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও তা ঘোষণা করা হয়নি।সুপ্তি শুধু প্রয়াত সাধনের স্ত্রী নন, তিনি যোগমায়া দেবী কলেজে মমতার সহপাঠীও ছিলেন। একটা সময়ে গুঞ্জন ছিল, সাধনের কেন্দ্রে তাঁর মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডেকে প্রার্থী করতে পারে তৃণমূল। কিন্তু শ্রেয়াকে নিয়ে দলেরই একটি বড় অংশের আপত্তি রয়েছে বলে তৃণমূলের অন্দরের খবর। তার পর সম্প্রতি উল্টোডাঙা আবাসনে ডিজে তাণ্ডবের ঘটনাতেও শ্রেয়ার নাম জড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনা নিয়ে গত শনিবার দলের বৈঠকে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মমতা।মানিকতলার বিধায়ক ছিলেন সাধন পান্ডে। রাজ্যে মন্ত্রী ছিলেন সাধনবাবু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক আন্দোলনের দীর্ঘ দিনের শরিক ছিলেন তিনি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর মৃত্যুর পর মানিকতলা বিধানসভার উপ নির্বাচন অনিবার্য হয়ে ওঠে। কিন্তু একটি মামলার কারণে তা থমকে ছিল। সম্প্রতি আদালত জানিয়ে দিয়েছে, অবিলম্বে উপ নির্বাচন করতে হবে। সোমবারও কুণাল-অতীনদের নিয়ে নবান্নে বৈঠক করেন মমতা। ওই বৈঠকে মানিকতলা নিয়েই মূলত আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, বৈঠকেই মমতা বলে দেন, প্রার্থী তিনি স্থির করে ফেলেছেন। মঙ্গলবার আরও একটু বড় আকারে বৈঠক করেন তিনি। নবান্নে ডেকে নেওয়া হয়েছিল মানিকতলা বিধানসভা এলাকার পুরসভার কাউন্সিলরদেরও। সূত্রের খবর, মঙ্গলবারের বৈঠকে মমতা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, দলের প্রার্থীকে জেতাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে নামতে হবে। কেউ যেন পছন্দ-অপছন্দ দেখতে না যান।মঙ্গলবার নবান্নের বৈঠক থেকে বেরিয়ে কুণাল বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কিছু আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে যখন যা জানাবার, দল জানাবে।’’ জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারের বৈঠক থেকে মানিকতলা উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থীর এজেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অনিন্দ্য রাউতকে। কুণালকে করা হয়েছে আহ্বায়ক।