প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-খাস কলকাতায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ। মুক্তিপণ দাবি করে বাড়িতে ফোন। তবে লালবাজারের অ্যান্টি রাউডি স্কোয়াড ও তিলজলা থানার যৌথ অভিযানে উদ্ধার করা হয় সেই ব্যবসায়ীকে। পুলিশ তদন্তে নেমে মুকুন্দপুরের একটি হোটেল থেকে উদ্ধার করে তাঁকে।তিলজলা থানার পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখার আধিকারিকরা ঘটনার তদন্তে নেমেই অবশ্য কিনারা করে ফেলে। গ্রেফতার করা হয়েছে মোট ৮ জনকে। ধৃতরা হল— বিবেক আগরওয়াল, আশুতোষ রায়, সুরজ কুমার সিং, রোহিত রায়, মহম্মদ আলকামা, আমন কুমার গুপ্তা, কুন্দন শ্রীবাস্তব ও ডেভিড। এখনও অধরা কয়েকজন বলে মনে করছে পুলিশ। যে গাড়িতে অপহরণ করা হয়েছিল, তার খোঁজে নেমেছেন তদন্তকারীরা। দিনেদুপুরে জনবহুল রাস্তায় এই ঘটনায় ফের শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।খাস কলকাতায় এবার অপহরণের অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয়, অপহরণের পর মুক্তিপণ চেয়ে আসে ফোন। টেনশন শুরু হয়ে যায় যুবকের বাড়িতে। তিলজলা থানা এলাকার ঘটনায় নির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে তিলজলা থানার পুলিশ এবং লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখার যৌথ উদ্যোগে ফিল্মি কায়দায় উদ্ধার করা হয় অপহৃত যুবককে। আর এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৮জনকে। একেবারে নিউ মার্কেট থেকে অপহরণ করা হয় ওই যুবককে। তারপর মুকুন্দপুরের একটি হোটেলে রাখা হয়। সেখান থেকে ওই যুবকের বাড়িতে ফোন করে ১২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চায় অভিযুক্তরা। ঋণ আদায়ের জন্যই অপহরণের ছক কষেছিল অভিযুক্তরা বলে অভিযোগ।এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২২ জুন তিলজলা থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। অপহৃত যুবকের বাবার অভিযোগ, ছেলে ২১ জুন সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু ২২ জুন বিকেল পর্যন্ত আসেনি। তারপর অজানা নম্বর থেকে ফোন করে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না দিলে যুবকের প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। আর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, মুকুন্দপুর এলাকার একটি হোটেল হানা দেয়। সেখান থেকে অপহৃত যুবককে উদ্ধার করা হয়।