দেবরীনা মণ্ডল সাহা:- নিম্ন আদালতে জামিন পেয়েও তা আটকে গিয়েছে দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে। এহেন পরিস্থিতিতে জেল থেকে মুক্তি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কিন্তু সোমবার সেখানেও ধাক্কা খেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। শীর্ষ আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, দিল্লি হাই কোর্টের রায় বেরনো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে আপ সুপ্রিমোকে। গত ২০ জুন আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া কেজরিওয়ালের জামিন মঞ্জুর করেছিল দিল্লির একটি নিম্ন আদালত | সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করে ইডি | কেন্দ্রীয় এজেন্সির আবেদনের ভিত্তিতে নিম্ন আদালতের নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্ট৷ ফলে আটকে যায় কেজরিওয়ালের মুক্তি | নিম্ন আদালতের নির্দেশকে একপেশে বলে অভিযোগ করেছিল ইডি | নিম্ন আদালতের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে দু পক্ষকেই ২৪ জুনের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টের অবসরকালীন বেঞ্চ৷ হাইকোর্ট জানিয়েছিল, নিম্ন আদালতের রায় দু তিন দিনের জন্য সংরক্ষিত রাখছে তারা৷ কারণ কোনও নির্দেশ দেওয়ার আগে মামলার পুরনো নথি খতিয়ে দেখতে চায় তারা | দ্রুত শুনানির আর্জি জানান কেজরির আইনজীবী। সেই মতো সোমবার শীর্ষ আদালতে শুনানি শুরু হয়। কিন্তু সেখানেও আশার আলো মিলল না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জন্য। এদিন শুনানির পর সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, দিল্লি হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ নিয়ে এখনই কোনও নির্দেশ দেওয়া হবে না। আগামী ২৬ জুন পর্যন্ত কেজরির পিটিশন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে দিল্লি হাই কোর্ট যদি এই মামলায় কোনও রায় দেয় তাহলে সেদিকে নজর রাখবে শীর্ষ আদালত। অর্থাৎ দিল্লি হাইকোর্টে পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে কেজরিকে।