Breaking News

নবান্ন অভিযানে পুলিশ সার্জেন্টের চোখে ইটের আঘাত!এবার ২ জনকে গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের

দেবরীনা মণ্ডল সাহা , কলকাতা :- পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযানের দিনে বাবুঘাটে আক্রান্ত হন কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তী। তাঁর বাম চোখে দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়। সেই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক জন মহিলা। হামলাকারী আরও কয়েকজনের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।নবান্ন অভিযানের সময় স্ট্র্যান্ড রোডের কাছে কর্তব্যরত ছিলেন দেবাশিস। পুলিশের গাড়িতেই ছিলেন তিনি। তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে আচমকা ইট ছোড়া শুরু হয়। একটি ইট সরাসরি দেবাশিসের চোখে লাগে। তাঁকে সেখান থেকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। এই ঘটনায় ময়দান থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।লালবাজার সূত্রে খবর, ধৃত মহিলার নাম রিঙ্কু সিংহ, তিনি মহেশতলার বাসিন্দা। এছাড়া, সুব্রত দাস নামের আরও এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু’জনকেই পুলিশ গত দু’দিন ধরে খুঁজছিল। ওই এলাকার ক্যামেরায় যাঁদের দেখা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে এই দু’জন ছিলেন। তাঁদের হামলাকারী হিসাবে চিহ্নিত করে সমাজমাধ্যমে ছবি পোস্ট করেছিল কলকাতা পুলিশ। সাধারণ মানুষের কাছে ওই হামলাকারীদের সন্ধান চাওয়া হয়েছিল। ঘটনার দু’দিনের মাথায় তাঁদের গ্রেফতার করা হল। বাবুঘাটে ওই দিন ডিউটি করছিলেন কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তী। আচমকা তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীদের একাংশ। দেবাশিস চক্রবর্তীর বাম চোখে এসে সজোরে লাগে একটি ইট।গল গল করে চোখ থেকে রক্ত বেরোতে থাকে ওই পুলিশকর্মীর। সেই মুহূর্তেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর সহকর্মীরা। পরপর অস্ত্রোপচার করা হয় তাঁর চোখে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ওই পুলিশকর্মীর বাম চোখে কয়েকটি অস্ত্রপোচার করা হয়েছে। গত দু’দিনে তাঁর খানিকটা দৃষ্টি শক্তি এসেছে। তাঁর চোখে এখনও রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহ ওই পুলিশকর্মীকে পর্যবেক্ষণে রাখবেন চিকিৎসকরা। ওষুধের মাধ্যমে তাঁর চোখে জমাট বাধা রক্ত তরল করার চেষ্টা চালানো হবে। প্রয়োজনে তাঁর চোখে আবারও অস্ত্রোপচার হতে পারে। তবে দেবাশিস চক্রবর্তী তাঁর দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন বলেই আশাবাদী চিকিৎসকরা।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *