প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- আর জি করের অ্যাসিসট্যান্ট সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। নিহত ছাত্রীর পরিবারকে ফোন করে প্রথমে অসুস্থতা ও পরে আত্মহত্যার তথ্য দেন আরজিকরের তৎকালীন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারই। এবার তিনি কেন্দ্রীয় এজেন্সির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে। সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল আরজি করের মহিলা অ্যাসিসট্যান্ট সুপারের কথা। সে প্রসঙ্গ উঠতে বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা বলেছিলেন, “তাঁর আচরণ অত্যন্ত সন্দেহজনক।”নিহত ছাত্রীর পরিবারকে ফোন করে প্রথমে অসুস্থতা ও পরে আত্মহত্যার তথ্য দেন আরজিকরের তৎকালীন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার। ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সেই অডিয়ো যা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। সেই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে জিজ্ঞেসাবাদ করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, সেদিন দেহ উদ্ধার হওয়ার পর সেখানে অনেক ছাত্র -ছাত্রীরা, আধিকারিকরা ছিল।সেদিন চেষ্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান তাঁকে ছাত্রীর বাড়িতে ফোন খবর দিতে বলেন। বাড়িতে যেহেতু বয়স্ক লোক আছে তাই তাঁরা যাতে বিচলিত না হয়ে পড়ে তাই অসুস্থতার কথা বলতে বলা হয়। সিবিআইয়ের কাছে মহিলার আরও দাবি, অল্প সময়ের ব্যবধানে তিনি দু’বার ফোন করে অসুস্থতার কথা বলেন। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ পর পরিবার না পৌঁছনোয় তিনি আবার ফোন করেন এবং সে সময় ঘাবড়ে গিয়ে সুইসাইডের কথা বলে ফেলেন। সত্যিই তিনি ঘাবড়ে গিয়ে আত্মহত্যার কথা বলেছিলেন, নাকি ঘটনাটি আত্মহত্যার মোড়ক দেওয়ার জন্য কেউ তাঁকে সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের দাবি, বাড়িতে যেহেতু বয়স্ক লোক আছেন, তাই তাঁরা যাতে বিচলিত না হয়ে পড়েন, উদ্বিগ্ন না হয়ে পড়েন, তাই অসুস্থতার কথা বলতে বলা হয় বলেই দাবি করেছেন তিনি। সিবিআইয়ের কাছে মহিলার আরও দাবি, অল্প সময়ের ব্যবধানে তিনি দু’বার ফোন করে অসুস্থতার কথা বলেন। কিন্তু সময় অনেকটা কেটে গেলেও পরিবার না পৌঁছনোয় আবারও তিনি ফোন করেন পরিবারকে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, অত্যন্ত সন্দেহজনক তাঁর ভূমিকা। সিবিআইও তাঁকে স্ক্যানারেই রাখছে বলে খবর।