দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বুধবার রাতে চারটি হাসপাতাল ঘুরে অবশেষে ভর্তি হয়েছেন টালা থানার ওসি। বুকে অস্বস্তি নিয়ে শহরের একাধিক হাসপাতালে ঘুরেছেন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি কোনও হাসপাতালে। ওসি সুস্থ রয়েছেন বলে ছ’টি হাসপাতাল ঘোষণা করার পর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরে সেখান থেকেও তাঁকে অন্যত্র সরানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের পরের শুনানিতে উপস্থিত থাকতে হবে শুনেই নাকি টালা থানার ওসি অসুস্থ। এবার তাঁর খোঁজ নিতেই মিছিল বেরোচ্ছে শহরে।শনিবার বিকেলে মিছিলের জন্য জমায়েতের ডাক দিয়েছেন উদ্যোক্তারা। প্রথমে জমায়েতের স্থান গোলপার্ক করা হলেও পরে পরিবর্তন করা হয়েছে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, জমায়েত হবে এক্সাইড মোড়ে। তাঁরা কারা? উদ্যোক্তাদের একজন তনিমা দাস জানিয়েছেন, নাগরিকদের পক্ষ থেকে মিছিলের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। এর নেপথ্যে কোনও রাজনৈতিক দল নেই।মিছিলের উদ্যোক্তাদের দাবি, টালা থানার ওসিকে ছ’টি হাসপাতাল সুস্থ ঘোষণা করার পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল। উদ্যোক্তারা এ-ও জানিয়েছেন, তাঁরা জানতে পেরেছেন সেই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সরিয়ে ভবানীপুরের একটি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন টালা থানার ওসি।মিছিলের প্রচারে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টার ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে লেখা রয়েছে, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের পরের শুনানিতে উপস্থিত থাকতে হবে শুনে টালা থানার ওসি নাকি অসুস্থ? চলুন, দেখা করে আসি (অ)সুস্থ ওসির সাথে’’।উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, এই মিছিলে কোনও রকম রাজনৈতিক দল থাকছে না। নাগরিক সমাজের পক্ষে হবে মিছিল। মূলত যাদবপুর এবং সংলগ্ন এলাকা থেকে এই মিছিলে জমায়েত হবেন মানুষ। আরজি কর হাসপাতাল টালা থানার অধীনে। ধর্ষিতা এবং নিহত চিকিৎসকের মামলাও টালা থানায় রয়েছে। ইতিমধ্যে থানার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নির্যাতিতার বাবা-মা টালা থানার কার্যকলাপ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন এবং অনেক প্রশ্নও তুলেছেন। কেন ময়নাতদন্তের আগে পুলিশের খাতায় অস্বাভাবিক মৃত্যু লেখা হয়েছিল সেই প্রশ্নও উঠেছে। সেই আবহেই এ বার টালা থানার ওসিকে দেখতে যাওয়ার মিছিল ডাকা হল |