Breaking News

‘সিবিআইয়ের আবেদন দুর্ভাগ্যজনক’, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা রাজ্যের বাইরে সরাতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসিত সিবিআই!

দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-ভোট পরবর্তী হিংসা মামলাগুলির বিচারপ্রক্রিয়া পশ্চিমবঙ্গের বাইরে সরানোর আবেদনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল সিবিআই। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ বলেন, যে ভাবে একটা গোটা রাজ্যে বিচারব্যবস্থা পক্ষপাতিত্ব করছে বলে সিবিআই দাবি করছে তা অবমাননাকর। সিবিআইয়ের এই মনোভাবকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছে আদালত। তবে মামলাটি খারিজ করেননি বিচারপতি।ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রাজ্যের বিভিন্ন কোর্টে একের পর এক অভিযুক্ত জামিন পাওয়া এবং বিচারপদ্ধতি প্রভাবিত হওয়ার অভিযোগ তুলে অন্য রাজ্যে মামলা সরানোর আর্জি জানিয়েছিল সিবিআই। এদিন বিচারপতি অভয় ওকা এবং অগস্টিং জর্জ মাসির বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল। ‘এ রাজ্যের সব আদালতের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছে সিবিআই। বাংলার সামগ্রিক বিচার পদ্ধতির ক্ষেত্রে প্রতিকূল পরিবেশ রয়েছে বলেও অভিযোগ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে কেন্দ্রীয় এজেন্সি পশ্চিমবঙ্গের আদালতগুলির বিরুদ্ধে এমন সন্দেহ প্রকাশ করছে।’ এমনটাই মন্তব্য অভয় এস অকা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের।সিবিআইয়ের আইনজীবী অ্যাডিশনাল সলিসিটার জেনারেল এসভি রাজুকে বিচারপতিরা প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা কী বলতে চাইছেন, বাংলার সব আদালতেই হস্টাইল পরিস্থিতি? ধরুন, আমরা মামলা অন্য রাজ্যে স্থানান্তর করে নিই, তার মানে আমরা এই বক্তব্যে শিলমোহর দিচ্ছি যে পশ্চিমবঙ্গের সব আদালতেই প্রতিকূল পরিস্থিতি এবং বিচারপদ্ধতি কাজ করছে না। আপনার আধিকারিকেরা কোনও রাজ্যকে পছন্দ নাই করতে পারেন, কিন্তু এটা বলবেন না যে সমগ্র বিচারপদ্ধতি কাজ করছে না। নিম্ন আদালতের বিচারক এবং বিচারবিভাগীয় আধিকারিকরা এখানে এসে নিজেদের ডিফেন্ড করতে পারেন না।’২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে বহু মানুষ হতাহত হন। সেই ঘটনাগুলির তদন্তভাব সিবিআইকে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তদন্তে নেমে বিভিন্ন ঘটনায় একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপি কর্মীরাও। কিন্তু সম্প্রতি পর পর মামলায় জামিন পেয়ে যাচ্ছেন অভিযুক্তরা। যার জেরে সিবিআইয়ের তদন্তপ্রক্রিয়া প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *